মাঠ বললে, ‘ঘাস তে রয়েছে, নিয়ে যা না!’
তখন কাক কামারের বাড়ি গিয়ে বললে—
কামার, কামার! দে তো কাস্তে,
কাটব ঘাস, খাবে গাই,
দেবে দুধ, খাবে কুত্তা,
হলে তাজা, মারবে মোষ, লব শিং,
খুঁড়ব মাটি, গড়বে ঘটি,
তুলব জল, ধোব ঠোঁট—
তবে খাব চড়াইর বুক।
কামার বললে, ‘আগুন নেই। আগুন নিয়ে আয়, কাস্তে গড়ে দি।’ তা শুনে কাক গৃহস্থদের বাড়ি গিয়ে বললে—
গেরস্ত ভাই, দাও তো আগুন,
গড়বে কাস্তে, কাটব ঘাস,
খাবে গাই, দেবে দুধ, খালে কুত্তা,
হবে তাজা, মারলে মোষ, লব শিং,
খুঁড়ব মাটি, গড়লে ঘটি,
তুলব জল, ধোব ঠোঁট—
তবে খাব চড়াইয় বুক।
তখন গৃহস্থ এক হাঁড়ি আগুন এনে বললে, ‘কিসে করে নিবি?’
বোকা কাক তার পাখা চডিয়ে বললে, ‘এই আমার পাখার উপরে ঢেলে দাও।’
গৃহস্থ সেই হাঁড়িসুদ্ধ আগুন কাকের পাখার উপর ঢেলে দিলে, আর সে বেটা তখুনি পুড়ে মরে গেল। তার আর চড়াইর বুক খাওয়া হল না।
গৃহস্থের ঘরের কোণে হাঁড়ি ঝোলানো ছিল, তার ভিতরে চড়াই-চড়নী থাকত।
একদিন চড়াই বললে, ‘চড়নী, আমি পিঠে খাব।’
চড়নী বললে, ‘পিঠের জিনিসপত্র এনে দাও, পিঠে গড়ে দেব এখন।’
চড়াই বললে, ‘কি জিনিস লাগবে?’