পাতা:টেলিমেকস (পঞ্চম সংস্করণ).djvu/১১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ সৰ্গ । Sol হইয়া গেল। কিয়াৎ ক্ষণ পরে দেখিলাম, মিনিৰ্বা দেবীও অন্তৰ্হিত হইয়াছেন। তদনন্তর আমি অনুভব করিতে লাগিলাম, যেন এক পরম রমণীয় উপবনে নীত হইয়াছি। আমি পুৰ্বে স্বর্গের ষোৰূপ বৰ্ণনা শ্রবণ করিয়াছিলাম, ঐ উপবন দর্শনে তাহা আমার স্মৃতিপথে আৰূঢ় হইল। তথায় প্রিয়সুহৃৎ, মেণ্টরের সহিত আমার সাক্ষাৎকার হইল। বন্ধু আমাকে কহিতে লাগিলেন, টেলিমেকিস ! তুমি এই অশেষ দোষের অদ্বিতীয় আবাসভূমি সংঘাতক দ্বীপ হইতে অৰিলম্বে পলায়ন করা ; অধিক কি কহিব, এ স্থানের বায়ুও ইন্দ্ৰিয়সুখাসক্তিদোষে দুষিত; এখানে ধাৰ্ম্মিকাগ্ৰগণ্যেরও ধৰ্ম্মভ্রংশের আশঙ্কা আছে, পলায়ন ব্যতিরেকে পরিত্রাণের উপায় নাই । আমি মেন্টরকে দেখিবা মাত্র, আহলাদসাগরে মগ্ন হইয়া, তঁহাকে আলিঙ্গন করিতে উদ্যত হইলাম ; অনেক চেষ্টা পাইলাম, কিন্তু এক পাও চলিতে পারিলাম না ; অনেক কষ্টে ৰাহু প্রসারণ করিয়া ভঁাহার ছায়ামাত্ৰ আলিঙ্গন করিলাম, কিন্তু তঁাহাকে আলিঙ্গন করিলে আমার হৃদয় যাদৃশ অনির্বচনীয় প্রীতিরসে পরিাপুর্ণ হয়, তাহা লাভ করিতে পারিলাম না। আলিঙ্গন করিবার নিমিত্ত উৎসুক ও অস্থির হওয়াতে আমার নিদ্রাভঙ্গ হইল ; জাগরিত হইয়া বুঝিতে পারিলাম, দেবতারা স্বপ্নচ্ছলে আমাকে উপদেশ প্রদান করিলেন। তদবধি বিষয়ৰিতুষ্ণা ও ধৰ্ম্মলোপিশঙ্কা আমার হৃদয়ে প্রবল হইয়া উঠিল এবং লম্পট ও ইন্দ্ৰিয়সুখপরতন্ত্র সাইপ্ৰিয়নদিগকে আমি ঘূণা করিতে লাগিলাম ; কিন্তু হয় তা মেন্টর নিরলীলা