পাতা:টেলিমেকস (পঞ্চম সংস্করণ).djvu/৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় সৰ্গ । হইয়াছে । এই সময়ে সহসা গুহামধ্যে গম্ভীর ধ্বনিতে এই দৈববাণী হইল, অহে ইউলিসিসপুত্ৰ! ধৈৰ্য্যাবলম্বন কর। যে সকল রাজকুমারদিগের দুঃখের স্বাদগ্ৰহ হয় নাই, তাহারা সুখাস্বাদনে অনধিকারী ; তাহারা বিষয়সেৰায়, আসক্ত হইয়া হঁহীনবীৰ্য্য ও সৎকাৰ্য্যসাধনে অযোগ্য হইয়া যায় । এই দুরবস্থা অতিক্রম কর ও তাহা স্মায়ণ রাখি, তাহা হইলেই তুমি উত্তর কালে প্ৰকৃতমুখভাজন হইতে পরিবে, এবং তোমার যশ শশধর উত্তরোত্তর ভূমণ্ডলে অধিকতর দেদীপ্যমান হইবে। যখন অন্যের উপর আধিপত্য লাভ করিবে, তখন, আমিও এক সময়ে অশেষ ক্লেশ ভোগ করিয়াছিলাম, এই ভাবিয়া প্ৰাণপণে অন্যের ক্লেশ নিবারণ করিবে, তাহা হইলেই আপনাকে সুখী করিতে পরিবে। প্ৰজাগণের প্রতি সতত স্নেহ প্ৰদৰ্শন করিবে ; চাটুকারদিগকে নিকটে আসিতে দিবে না। চাটুকারেরা মানবজাতির, বিশেষতঃ নরপতিদিগের, অতি বিষম শক্রি । তাহারা কেবল স্বার্থপর, স্বার্থসাধনোদেশে কল্পিত স্তুতিবাদ দ্বারা চিত্তের অকিঞ্চিৎকর প্রীতি জন্মাইয়া অনভিজ্ঞ লোকদিগকে মুগ্ধ করে। তাদৃশ লোকেরাও ক্রমে ক্রমে তাহাদের কল্পিত বাকপ্রবন্ধে বিশ্বাস বন্ধ করিয়া মদান্ধি হইয়া উঠে । তখন তাহারা আত্মবিস্মৃত হইয়া যায়, ও আপনাদিগকে মহৎ জ্ঞান করিতে আরস্ত করে। আত্মবিস্মৃত হইয়া আপনাকে মহৎ জ্ঞান করা সৰ্ব্বনাশের পথ । আর তুমি নিরন্তর ইন্দ্ৰিয়দমনে যত্নবান থাকিবে এবং নিয়ত এই কথা স্মরণ রাখিবে যে, যিনি যে পরিমাণে ইন্দ্ৰিীয় দমন করিতে পারেন, তিনি সেই পরিমাণে মহাত্মা বলিয়া সৰ্ব্বত্র গণনীয় হয়েন।