পাতা:টেলিমেকস (১-৬ সর্গ).pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭ও টেলিমেকস । যথার্থ বলিয়া অতি ত্বরায় আমার বিলক্ষণ প্রতীতি জন্মিল। পিথালিয়নের দৌরাত্ম্য ও মানসিক ক্লেশের নানা প্রকার চিকু দেখিয়া আমি অত্যন্ত চমৎকৃত হইলাম ; কারণ সেরূপ ব্যাপার তৎপূৰ্ব্বে আর কখন আমার দৃষ্টি বা শ্রবণ গোচর হয় নাই । তদর্শনে আমি মনে মনে কহিতে লাগিলাম, দেখ এই ব্যক্তি আপনাকে মুখী কল্পিবার নিমিত্ত আয়াস ও যত্ব করিতেছেন এবং স্থির করিয়াছেন, অপরিমিত সম্পত্তি ও অসীম ক্ষমতাই মুখের কারণ ; কিন্তু সম্পত্তি ও ক্ষমতাই তাহার ছুঃখের কারণ হইয়া উঠিয়াছে। কিছুদিন পূৰ্ব্বে আমি যেমন মেষপালক হইয়া ছিলাম, যদি ইনি সেন্ধপ মেষপালক হইতেন, তাহা হইলে নিৰ্ম্মল গ্রাম্য মুখাস্বাদনে সচ্ছন্দে মনের আনন্দে কালযাপন করিতে পারিতেন ; ইহাকে অস্ত্রাঘাত বা বিষ দানের ভয় করিতে হইত না ; ইনি মানৰ জাতির স্নেহ ভাজন হইতেন এবং মানব জাতিও ইহার স্নেহ ভাজন হইত। ইহার ঈদৃশ সম্পত্তি থাকিত না যথার্থ বটে ; কিন্তু পর্য্যাপ্ত পরিমাণে উৎপন্ন পৃথিবীর ফল মূল শস্যাদি লাভ করিয়া ইনি পরম আনন্দ ভাল করিতেন, অথচ সাংসারিক আবশ্যক কোন বিষয়েরই ইহঁর অভাব থাকিত না। ষে ব্যক্তি সম্পত্তি লাভ করিয়া ইচ্ছানুৰূপ ভোগ করতে না পারে, তাহার পক্ষে সেই সম্পত্তি ভক্ষরাশির ন্যায় নিতান্ত নিম্পয়োজন । ইহা আপাততঃ বোধ হয় যে, ইনি আপন ইচ্ছামুৰূপ কাৰ্য্য কৱিঞ্জাকেন ; কিন্তু ৰাস্তবিক তাহা নহে। ইনি ছৰ্দম