ঠাকুরমা’র বুলি বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষৎ বাঙ্গালীকে এক অতি মহাত্ৰতে দীক্ষিত করিয়াছেন ; হারাণো সুরের মণিরত্ন মাতৃভাষার ভাণ্ডারে উপহার দিবার যে অতুল প্রেরণা, তাহার মূল ঝরণা হইতেই জাগরিত হইয়া উঠিয়াছে দেশজননীর স্নেহধারা—এই—বাঙ্গালার রূপকথা । মা’র মুখের অমৃত-কথার শুধু রেশগুলি মনে ভাসিত ; পরে, কয়েকটি পল্লীগ্রামের বৃদ্ধার মুখে আবার যাহা শুনিতে শুনিতে শিশুর মত হইতে হইয়াছিল, সে সব ক্ষীণ বিচ্ছিন্ন কঙ্কালের উপরে প্রায় এক যুগের শ্রমের ভূমিতে এই ফুল-মন্দির রচিত। বুকের ভাষার কচি পাপড়িতে সুরের গন্ধের আসন : কেমন হইয়াছে বলিতে পারি না । অবশেষে বসিয়া বসিয়া ছবিগুলি আঁকিয়াছি। ধা’দের কাছে দিতেছি, তঁাহারা ছবি দেখিয়া হাসিলে, জানিলাম আঁকা ঠিক হইয়াছে । শরতের ভোৱে বুলিটি আমি সোণার হাটের মাঝখানে আনিয়া দিলাম। আমার মা’র মতন মা বাঙ্গালার ঘরে ঘরে আবাৱ দেখিতে পাই! যাদের কাজ তা’র আবার আপন হাতে তুলিয়া নেন। যেমন চাহিয়াছিলাম, হয়তো হয় নাই, কিন্তু বই যে সত্বরে প্ৰকাশিত হইল, ইহার ব্যবস্থায় “বঙ্গভাষা ও সাহিত্যের” আমার অগ্ৰজ-প্রতিম সুহৃদ্ধর শ্রদ্ধেয় শ্ৰীযুক্ত দীনেশচন্দ্র সেন মহাশয়ই অগ্ৰণী । তঁহার আদরের ‘বুলি’ তাহার ঋণ শোধ করিতে পারিবে না। — আমার ছোট বোনুটি অনেক খুঁটিনাটিভে সাহায্য করিয়াছে। প্ৰিয়বন্ধু শ্ৰীযুক্ত বিমলাকান্ত সেন মুদ্রণাদিতে প্ৰাণপাতে আমার জন্য খাটিয়াছেন। তঁহার নিকট কৃতজ্ঞতার, ভাষা নাই । জোৎস্নাবিধৌত স্নিগ্ধ সন্ধায় আরতির বাদ্য বাজিয়াছে। এ সুলগ্নে, বঁাদের বুলি, তেঁ’দের কাছে দিয়া-বিদায় হইলাম । দেৱ বুলি বু ്
ീ কলিকাতা, প্ৰথম সংস্করণ "চান্দ্র ১৩১৪ ; ব্ৰয়োদশ সংস্করণ ভাদ্র ১৩৫১
- গ্ৰন্থকাক্সের প্রতিকৃতি-১৪ পৃষ্ঠায়।
م! MVA