-দুধের সাগর ( 8 ) কয়েক বছর যায় ; রাণীর সন্তান হইবে । রাজা, রাণীর জন্য ‘হীরার ঝালর সোণার পাত, শ্বেত পাথরের নিগম ছাদ’ দিয়া আঁতুড়ঘর বানাইয়া দিলেন। রাণী বলিলেন,-“কিতদিন বোনুদিগে দেখি না, ‘মায়ের পেটের রক্তের পোম্ আপন বলতে তিনটি বোনু”-সেই বোনদিকে আনাইয়া দিলে যে, তা'রাই আঁতুড়ঘরে যাইত।” রাজা আর কি করিয়া “ন’ করেন ? বলিলেন,-“আচ্ছা।” রাজপুরী হইতে ঘেসেড়ার বাড়ী কানাতের পথ পড়িল, রাজপুরী হইতে রাধুনের বাড়ী বাদ্য-ভাণ্ড বসিল ; হাসিয়া নাচিয়া দুই বোনে রাণী-বোনের আঁতুড়ঘর আগ লাইতে আসিল । “ওমা!”--আসিয়া দুইজনেদেখে, রাণী-বোনের যেঐশ্বৰ্য্য!-- হীরামোতি হেলে না, মাটিতে পা ফেলে না, সকল পুরী গমৃগমা ; সকল রাজ্য রমরমা । সেই রাজপুরীতে রাণী-বোন ইন্দ্রের ইন্দ্ৰাণী !!--দেখিয়া, দুই বোনে হিংসায় জ্বলিয়া মরে । - ( α ) রাণী কি আর অন্ত জানেন ? দিনদুপুরে, দুইবোন এঘর-ওঘর সাতঘর আঁদি সঁাদি ঘোরে। রাণী জিজ্ঞাসা করেন,- “কেন লো দিদি, কি চা’স ?” দিদিরা বলে,-“না, না ; এই,--” আঁতুড়ে কত কি লাগে, তাই জিনিষ পাতি খুজি ।” শেষে, বেলাবেলি দুই বোনে রাণীর আঁতুড়ঘরে গেল। 战 ΣΣ8
পাতা:ঠাকুরমার ঝুলি.djvu/১০৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।