ঠাকুরমার বুলি দেখিলেন, এক মাটির ভঁাড় ভাসিয়া আসে। না,-ভঁাড়ের মধ্যে সদ্য ছেলের কান্না শোনা যায়। আঁকুপাকু করিয়া ব্ৰাহ্মণ ভঁাড় ধরিয়া দেখেন,-এক দেবশিশু ! ব্ৰাহ্মণ তাড়াতাড়ি করিয়া মুখের কুণ তুলা ধোয়াইয়া শিশুপুত্র নিয়া ঘরে গেলেন। তা’র পরের বছর আর এক মাটির ভাড় ভাসিয়া ভাসিয়া সেই ব্ৰাহ্মণের ঘাটে আসিল । ব্ৰাহ্মণ দেখিলেন,-আর এক দেবপুত্র! ব্ৰাহ্মণ সে-ও দেবপুত্র নিয়া ঘরে তুলিলেন । তিন বছরের বছর আবার এক মাটির ভঁাড় ব্ৰাহ্মণের ঘাটে গেল। ব্ৰাহ্মণ ভঁাড় ধরিয়া দেখেন,-এবার-দেবীকন্যা ! ব্ৰাহ্মণের বেটা নাই, পুত্ৰ নাই, তা’র মধ্যে দুই দেবপুত্র, আবার দেবকীন্যা !-ব্ৰাহ্মণ আনন্দে কন্যা নিয়া ঘরে গেলেন ! হিংসুক মাসীরা ভাসাইয়া দিয়াছিল, ভাসানে রাজপুত্ৰ রাজকন্যা গিয়া ব্ৰাহ্মণের ঘর আলো করিল । রাজার রাজপুরীতে আর বাতিটুকুও জ্বলে না। ( . ) ছেলে মেয়ে নিয়া ব্ৰাহ্মণ পরম সুখে থাকেন। ব্ৰাহ্মণের । চাটি-মাটির দুঃখ নাই, গোলা-গঞ্জের অভাব নাই। —ক্ষেতের ধান, গাছের ফল, কলস কলম্ব গঙ্গাজল, ডোল-ভরা মুগ, কাজল লতা গাইয়ের দুধ-ভ্ৰব্ৰাহ্মণের টাকা পেটরায় ধরে না । ※ δΣε
পাতা:ঠাকুরমার ঝুলি.djvu/১০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।