ঠাকুরমা’র বুলি S রাজকুমারের জ্ঞান হইয়াছে, শব্দ শুনিয়া রাজকুমার উঠিয়া বসিলেন,-কিসের পথ, কোথায় আসিয়াছেন, রাজপুত্র কিছুই জানেন না, কিছুই বুঝিতে পারিলেন না ; রাজপুত্র থতিমত খাইয়া রহিলেন । হাতী কাতারের কাহাকেও ছুইল না।-হু হু করিয়া সকল পথ ছাড়াইয়া আসিয়া রাজপুত্রকে তুলিয়া সিংহাসনে বসাইল। রাজ্যের লোক “রাজা ! রাজা !” বলিয়া জয়-জয়কার দিয়া অন্ধ রাজকুমারকে নিয়া রাজা করিল। ধূমধাম, অভিষেক, জাকজমক, বিচার, আচার, সভা, দরবার —সব—শেষে রাত্রি-রাজার দেশে সব ঘুমাইয়াছে। নগরে সহরে সাড়াটি নাই, দুয়ার দরজায় পাহারা নাই—থাকিয়া কি হইবে ? কা’ল যা হইবে সকলেই তো ত’ জানে, পাহারারা আর পাহারা দেয় না!! রাজকন্যা ঘুমে বিভোর ! সেই কালরাত্রে কেবল রাজকুমার জাগিয়া আছেন। ঘর বা’র নিঝুম, পৃথিবী-সংসারে টু শব্দ নাই—পোক-মাকড় পক্ষীটিও ডাকে না। ;-কাল নিশির কালঘুমে সব যেন ছাইয়া আছে। ঘরে প্রদীপ দীপ দীপ, রাজপুত্রের মন-ছত্ৰ ছত্ত্ব, কোনই সাড়া নাই।-কোনই শব্দ নাই । হঠাৎ ঘুমের রাজকন্যা চীৎকার করিয়া অজ্ঞান হইলেন ; চিড়িক দিয়াঘরে বিজলী জ্বলিয়াউঠিল, চড় চড় করিয়া দেওয়ালের গা ফাটিয়া গেল ; চুর চুরু ঝুরুঝুরু চারিদিকে ঝালার-পাত খসিয়া পড়িতে লাগিল। --রাজপুত্রের সকল গা কঁটা—শক্ত করিয়া §- ※ SAS So
পাতা:ঠাকুরমার ঝুলি.djvu/১৫৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।