—রূপ-তরাসী S উঠিয়া গেলেন। পাশাবতীরা তখনি পক্ষিরাজকে গরাসে গরাসে খাইয়া ফেলিল । পরদিন এক গ্রামের মধ্যে গিয়া রাজপুত্র এক বিড়ালের ছানা নিয়া আসিলেন । বলিলেন,-“এস, আজ খেলিব ।” খেলিতে বসিয়াছেন,-আজি ইদুর আসে আসে করে, আসে না-কি যেন দেখিয়া পলায় । রাজপুত্র দ্বান ফেলিলেন “এই হাতে ছিলে পাশা, পুনু এলে হাতে,— এত দিন ছিলে পাশা—কা’র দুধ-ভাতে?” আর দা’ন পড়ে। পলক ফেলিতে না ফেলিতে পাশাবতী হারিয়া গেল। রাজপুত্ৰ বলিলেন, “আমার পক্ষিরাজ দাও।” রাক্ষসী পক্ষিীরাজ দিল ! আবার খেলা। রাক্ষসী আবার হারিল ; রাজপুত্ৰ ৰালিলেন, -“আমার ঘোড়ার মত ঘোড়া, আমার মত রাজপুত্র দাও।” পাশাবতী এক রাজপুত্র এক ঘোড়া আনিয়া দিল ; রাজপুত্ৰ দেখেন, ভাই ; ভাইদের ঘোড়া ! রাজপুত্র আবার খেলিলেন। খেলিতে খেলিতে রাজপুত্ৰ-সাত ভাই, সাত ভাইয়ের ঘোড়া, পাশাবতীর রাজ-রাজত্ব ঘর পুরী সব জিনিলেন। শেষে বলিলেন —“এখন কি দিবে ? এই পাশা আর ইদুর দাও।” পাশাবতী কি পাশা অমনি দেয় ?—তখন রাজপুত্র বিড়ালের ছানা ছাড়িয়া দিলেন,—বিড়াল গড়গড় করিয়া ইদুরকে ধরিয়াছিাড়িয়া খাইয়া ফেলিল। ঘরের প্রদীপ নিবিয়া গেল,-রাজ-রাজত্ব কোথায় YN
পাতা:ঠাকুরমার ঝুলি.djvu/১৬৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।