- চ্যাং ব্যাং ফুলাইতে পণ্ডিত মহাশয়ের কাছে গিয়া উপস্থিত ৷-“পণ্ডিত মশাই, পণ্ডিত মশাই, দেখি, দেখি, ছেলেরা আমার কেমন লেখা পড়া শিখিয়াছে ?” তাড়াতাড়ি উঠিয়া পণ্ডিত মহাশয় বলিলেন,-“আসুন, আসুন, বসুন, বসুন; হ্যারে, গুবৃরে, তামাক দে, আরো ফড়িঙ্গে, নাস্তির ডিবে নিয়ে আয়।-হঁ্যারে, কুমীর-সুন্দরেরা কোথায় গেল রে ?-বসুন, বসুন, আমি ডাকিয়া নিয়া আসি।” গৰ্ত্তের ভিতরে গিয়া শিয়াল পণ্ডিত সেই শেষ-একটি ছানাকে উঁচু করিয়া সাত বার দেখাইল। বলিল,-“কুমীর মশাই, এত খাটিলাম খুটিলাম, আর একটুর জন্য কেন খুত রাখিবেন ? সব ছেলেই বিদ্যাগজগজ হইয়া গিয়াছে, আর একদিন থাকিলেই একেবারে ধনুৰ্দ্ধর হইয়া ঘরে যাইতে পারিবে।” কুমীর বলিল,-“আচ্ছ। আচ্ছা, বেশ, তাহাই হইবে।” বোকা কুমীর খুসী হইয়া চলিয়া গেল। পরদিন শিয়াল পণ্ডিত বাকী ছানাটিকে দিয়া সব-শেষ জলযোগ সারিয়া-পাঠশালা পুঠিশালা ভাঙ্গিয়া-পলায়ন ! পিট্টন তো পিট্টান,-কুমীর আসিয়া দেখে, পড়ুয়ারা পড়ে না, শিয়াল পণ্ডিত ঘরে নাই, শটীর বন খালি । কুমীর তখন সব বুঝিতে পারিল। . গালে চর মাথায় চাপড়, হাপুসা নয়নে কঁাদিয়া, কুমীর বলিল—“আচ্ছা পণ্ডিত, দাঁড়া,-- * , আর কি কঁকড়া খাবি না? অ্যার ৰিঙ্ক খালে যাবি না ? V
পাতা:ঠাকুরমার ঝুলি.djvu/২০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।