পাতা:ঠাকুরমার ঝুলি.djvu/২১৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

浚 ঠাকুরমা’র বুলি দুখুর মা আর দুখুর দিনে রাত্রে সূতা কাটিয়া কোন দিন একখানা গামছা, কোন দিন একখানা ঠোঁটী, এই হয়। তাই, বেচিয়া একবুড়ি পায়, দেড়বুড়ি পায়, তাই দিয়া মায়ে ঝিয়ে চারিটি অন্ন পেটে দেয়। একদিন, সুতা নাতা ইদুরে কাটে, তুলাটুকু নেতিয়ে যায়,— দুখুর মা, সুতা গোছা এলাইয়া দিয়া, তুলা ডালা রোদে দিয়া, ক্ষারকাপড়খান নিয়া ঘাটে গিয়াছে। দুখু তুলা আগলাইয়! বসিয়া আছে। এমন সময় এক দমকা বাতাস আসিয়া দুখুর তুলাগুলা উড়াইয়া নিয়া গেল ! একটু তুলাও দুখু ফিরাইতে পারিল না ; শেষে দুখু কঁাদিয়া ফেলিল ! তখন বাতাস বলিল,-"দুখু, কঁাদিস নে, আমার সঙ্গে আয়, , তোকে তুলা দেবো।” দুখু কঁাদিতে কঁদিতে বাতাসের পিছুপিছু গেল। যাইতে যাইতে পথে এক গাই দুখুকে ডাকে,-“দুখু, কোথা যােচ্ছ—আমার গোয়ালটা কাড়িয়া দিয়া যাবে ?” দুখু, চোকের জল মুছিয়া, গাইয়ের গোয়াল কাড়িল, খড় জল দিল ; দিয়া আবার বাতাসের পিছু চলিল । খানিক দূরে যাইতেই এক কলাগাছ বলিল,-“দুখু কোথা যােচ্ছ—আমায় বড় লতাপাতায় ঘিরিয়াছে, এগুলিকে টেনে | যাবে?” দুখু একটু থামিয়া কলাগাছের লতাপাতা ছিাড়িয়া দিল। " আবার খানিক দূর যাইতে,এক সেওড়া গাছ ডাকিল,-“দুখু, কোথায় যােচ্ছ—আমার গুক্তিটায় বড় জঞ্জাল, ঝা’ড় দিয়া যাবে ?” SSA