ঠাকুরমা’র ঝুলি তা” সব ঠেলিয়া ফেলিয়া, যা’ তা” ছেড়া নাতা গামছা কাপড় নিয়া, যেমন-তেমন একটু তেল মাথায় ছোয়াইয়া, এক চিম্টা ক্ষার খৈল নিয়া নাইতে গেল। ক্ষার খৈল টুকু মাখিয়া জলে নামিয়া দুখু ডুব দিল। ডুব দিতেই এক ডুবে দুখুর সৌন্দৰ্য্য উথলে পড়ে!—সে কিরূপ - অত রূপ দেবকন্যারও নাই!-দুখু তাজানিতেও পারিল না। আর এক ডুবে দুখুর গয়না,-গায়ে ধরে না, পায়ে ধরে না। সোণাঢাকা অঙ্গ নিয়া আস্তে আস্তে উঠিয়া আসিয়া দুখু খাবার ঘরে গেল । খাবার ঘরে কত জিনিষ, দুখু কি জানে ? জন্মেও অতি সব দেখে নাই! এক কোণে বসিয়া দুখু চারিটি পান্ত খাইয়া আসিল । চাদের মা বুড়ী বলিল,—“আমার সোণার বাছা এসেছিস! ঐ ঘরে যা, পেটরায় তুলা আছে, নাও গে!” দুখু গিয়া দেখিল-পেটরার উপর পেটরা-ছোট, বড়, ক-ত রকমের ! দুখু এক পাশের ছোট্ট এতটুকু এক খেলনা-পেটরা নিয়া বুড়ীর কাছে দিল। বুড়ী বলিল,--“আমার মাণিক ধন ! আমার কাছে কেন, এখন মা’র বাছা মা’র কাছে যাও, এই পেটরায় তুলা দিয়াছি।” বুড়ীর পায়ের ধূলা নিয়া পেটরা কঁাখে, রূপে, গয়নায়, পথ ঘাট আলো করিয়া দুখু বাড়ী চলিল। পথে ঘোড়া বলিল,-“দুখু, এস, এস, আর কি দিব, এই নাও।” ঘোড়া খুব তেজী এক পক্ষিরাজ বাচ্চ দিল । * * সেওড়া গাছ বলিল,-“দুখু দুখু, এস, এস, আর কি দিব, এই নাও ” সেওড়া গাছ এক ঘড়া মোহর দিল । | 浚 RRSd
পাতা:ঠাকুরমার ঝুলি.djvu/২১৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।