—দুধের সাগর আর বুদ্ধ, দুইজনে তাহদের মায়েদের কুঁড়েঘরের পাশে একটা ছোট বকুলগাছের ডালে বসিয়া খেলা করে। পাঁচ রাজপুত্রের বেড়াইতে বাহির হইরা আজ ইহাকে মারে, কাল উহাকে মারে, আজ ইহার গর্দান নেয়, কাল উহার গর্দান নেয় ; রাজ্যের লোক তিত-বিরক্ত হইয়া উঠিল । ভূতুম, আর বুদ্ধ, দুইজনে খেলাধুলা করিয়া, যা”র-যার মায়ের সঙ্গে যায়। বুদ্ধ, মায়ের ঘুটে কুড়াইয়া দেয়, ভূতুম, চিড়িয়াখানার পাখীর ছানাগুলিকে আহার খাওয়াইয়া দেয় । আর, দুই-একদিন পর-পর দুইজনে রাজবাড়ীর দক্ষিণ দিকে বনের মধ্যে বেড়াইতে যায়। ভূতুমের মা চিড়িয়াখানার বঁাদী, বুদ্ধর মা ঘুটেকুড়ানী দাসী। কোনদিন খাইতে পায়, কোনদিন পায় না। বুদ্ধ, দুই মায়ের জন্য বন-জঙ্গল হইতে কত রকমের ফল আনে। ভূতুম, ঠোঁটে করিয়া দুই মায়ের পান খাইবার সুপারী আনে। এই রকম করিয়া ভূতুম, ভূতুমের মা, বুদ্ধ, বুদ্ধর মা’র দিন যায়। একদিন পাঁচ রাজপুত্ৰ পক্ষিরাজ ঘোড়া ছুটাইয়া চিড়িয়াখানা দেখিতে আসিলেন । আসিতে, পথে দেখিলেন, একটি পেচা আর একটি বানর বকুল গাছে বসিয়া আছে। দেখিয়াই তঁহারা সিপাই লস্করকে হুকুম দিলেন—“ঐ পেঁচা আর বানরটিকে ধর, আমরা উহাদিগে পুষিব৷” অমনি সিপাই লস্করেরা বকুল গাছে জাল ফেলিল। ভূতুম, আর বুদ্ধ, জাল ছিড়িতে পারিল না। S Y ※ v98
পাতা:ঠাকুরমার ঝুলি.djvu/২৬
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।