—দুধের সাগর—
সেই সময়ে ভূতুম্ আর বুদ্ধুকে লইয়া, রাজা যে, নদীর ঘাটে আসিলেন।
বুদ্ধু বলিল,—“বাবা, ও কি যায়?”
রাজা বলিলেন,—“ময়ূরপঙ্খী।”
বুদ্ধু বলিল,—“বাবা, আমরা ময়ূরপঙ্খীতে যাইব; আমাদিগে ময়ুরপঙ্খী দাও।”
ভূতুম্ বলিল,—“বাবা, ময়ূরপঙ্খী দাও।”
রাণীরা সকলে কিল্ কিল্ করিয়া উঠিলেন—
“কে লো, কে লো, বাঁদীর ছানা নাকি লো?”
“কে লো, কে লো, ঘুঁটে-কুড়ানীর ছা নাকি লো?”
“ও মা, ও মা, ছি! ছি!”
রাণীরা ভূতুমের গালে ঠোনা মারিয়া ফেলিয়া দিলেন, বুদ্ধুর গালে চড় মারিয়া ফেলিয়া দিলেন। রাজা আর কথা কহিতে পারিলেন না; চুপ করিয়া দাঁড়াইয়া রহিলেন।
রাণীরা রাগে গর্ গর্ করিতে করিতে রাজাকে লইয়া রাজপুরীতে চলিয়া গেলেন।
বুদ্ধু বলিল,—“দাদা?”
ভূতুম্ বলিল,—“ভাই?”
বুদ্ধু। —“চল আমরা ছুতোরবাড়ী যাই, ময়ূরপঙ্খী গড়াইব; রাজপুত্রেরা যেখানে গেল, সেইখানে যাইব।”
ভূতুম্ বলিল,—“চল।”৪০