ঠাকুরমা’র বুলি 浚 § S কিন্তু, রাজকন্যা কি করিবেন ? যখন পণ করিয়াছিলেন, যে, তিন বুড়ীর রাজ্য পার হইয়া, রাঙ্গা নদীর জল পাড়ি দিয়া, কঁথা-বুড়ীর, আর, অন্ধকুঠারীর হাত এড়াইয় তাহার পুরীতে আসিয়া যে মোতির ফুল নিতে পারিবে, সে-ই তঁাহার স্বামী হইবে,-তখন রাজকন্যা আর কি করেন ?-উঠিয়া বানরের গলায় মালা দিলেন । তখন বুদ্ধ, হাসিয়া বলিল,-“রাজকন্যা, এখন তুমি কা’র ?” রাজকন্যা বলিলেন,-“আগে ছিলাম বাপ-মায়ের, তা’র পরে ছিলাম। আমার ; এখন তোমার ।” বুদ্ধ বলিল,-“তবে আমার দাদাদিগে ছাড়িয়া দাও, আর তুমি আমার সঙ্গে আমার বাড়ীতে চল। মাদের বড় কষ্ট, তুমি গেলে তঁহাদের কষ্ট থাকিবে না ।” রাজকন্যা বলিলেন,-“এখন তুমি যাহা বলিবে, তাহাই করিব । তা চল ;-কিন্তু, আমাকে এমনি নিতে পারিবে: না,-আমি এই কৌটার মধ্যে থাকি, তুমি কৌটায় করিয়া আমাকে লইয়া চল ।” বুদ্ধ বলিল,-“আচ্ছা।” রাজকন্যা কৌটার ভিতরে উঠিলেন। অমনি শুকপাখী তাড়াতাড়ি গিয়া ঢোল-ডগরে ঘা দিল। দেখিতে দেখিতে রাজপুরীর মধ্যে এক প্ৰকাণ্ড হাট-বাজার বসিয়া গেল। রাজকন্যার কৌটা দোকানীর কোঁটার সঙ্গে মিশিয়া গেল। বুদ্ধ দেখিল, এ তো বেশী। সে ঢোল-ডগর লইয়া বাজাইতে 浚 VO খু১৪ 8s
পাতা:ঠাকুরমার ঝুলি.djvu/৪১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।