ঠাকুরমা’র বুলি কঁাদিয়া কঁদিয়া সারা হইল । শেষে, দিন গেল, বিকাল গেল, সন্ধ্যা গেল, রাত্রি হইল ; তৃষ্ণায় ক্ষুধায় অস্থির হইয়া, দাদাকে হারাইয়া কঁাদিয়া কঁাদিয়া বসন্ত এক গাছের তলায় ধূলা-মাটিতে শুইয়া ঘুমাইয়া পড়িল । দুঃখিনী মায়ের বুকের মাণিক ছাই-পাশে গড়াগড়ি গেল! খুব ভোরে, এক মুনি, জপ-তপ করিবেন, জল আনিতে সরোবরে যাইতে, দেখেন, কোন এক পরম সুন্দর রাজপুত্র গাছের তলায় ধূলা-মাটিতে পড়িয়া আছে । দেখিয়া, মুনি বসন্তকে বুকে করিয়া তুলিয়া নিয়া গেলেন। (७) (খৃত রাজহাতীর পিঠে শীত তো সেই নাই-রাজার রাজ্যে গেলেন ! যাইতেই, রাজ্যের যত লোক আসিয়া মাটিতে মাথা ছোয়াইল, মন্ত্রী, অমাত্য, সিপাইসান্ত্রীরা সকলে আসিয়া মাথা নোয়াইল, নোয়াইয়া, সকলে রাজসিংহাসনে তুলিয়া নিয়া শীতকে রাজা করিলা । প্ৰাণের ভাই বসন্ত, সেই বসন্ত বা কোথায়, শীত বা কোথায়! দুঃখিনী মায়ের দুই মাণিক বেঁটা ছিড়িয়া দুই খানে পড়িল । রাজা হইয়া শীত, ধন-রত্ন মণি-মাণিক্য, হাতী-ঘোড়া, সিপাই-লস্কর লইয়া রাজত্ব করিতে লাগিলেন । আজ এ রাজাকে হারাইয়া দিয়া তাহার রাজ্য নেন, কা’ল ও-রাজাকে t হারাইয়া দিয়া তাহার রাজ্য আনেন, আজ মুগীয়া করেন, কাল দিগ্বিজয়ে যান, —এই রকমে দিন যায়! মৃত্যু SNSD
পাতা:ঠাকুরমার ঝুলি.djvu/৮৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।