参征 ঠাকুরমা’র বুলি শীত বসন্ত, তিন ভাইকে বুকে লইয়া বলিলেন,-“সে কি ভাই, তোরা এমন হইয়া ছিলি! সুয়ো-মা কেমন, বাবা কেমন ?” তিন ভাই বলিল,-“সে কথা আর কি বলিব,-বাবা বনবাসে, মা মরিয়া গিয়াছেন ; তিন ভাই ক্ষীর-সমুদ্রের তলে সোণার মাছ হইয়া ছিলাম।” শুনিয়া শীত বসন্তের বুক ফাটিল ; চোকের জলে ভাসিতে ভাসিতে গলাগলি পাঁচ ভাই রাজপুরী গেলেন। (SS) রাজকন্যার সোণার টিয়া পিঞ্জরে ঘোরে, ঘোরে, আর কেবলি কয় “দুঃখিনীর ধন। সাত সমূদ্র ছেচে এনেছে মাণিক রতন ||” রাজকন্যা বলিলেন “কি হয়েছে, কি হয়েছে, আমার সোণার টিয়া ” টিয়া বলিল,-“যাদু আমার এল, কন্যা, গজমোতি নিয়া!” সত্য-সত্যই ; দাসী আসিয়া খবর দিল, শীতরাজার ভাই রাজপুত্র যে, গজমোতি আনিয়াছেন ! শুনিয়া রাজকন্যা রূপবতী হাসিয়া টিয়ার ঠোঁটে চুমু খাইলেন। রাজকন্যা বলিলেন,-“দাসী,লো দূাসী, কপিলগাইয়ের দুধ আনি, কঁচা হলুদ বাটিয়া আনু; আমার সোণারাটিয়াকে নাওয়াইয়া দিব?” দাসীরা দুধ-হলুদ আনিয়া দিল। রাজকন্যা সোণারাপার পিড়ী, পাট কাপড়ের গামছা, নিয়া, টিয়াকে স্বান করাইতে বসিলেন। 一 Soq
পাতা:ঠাকুরমার ঝুলি.djvu/৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।