ডাক্তার বাবু। ঐ গাড়ি দক্ষিণদিক হইতে আসিয়া চিৎপুর রাস্তা বাহিয়া উত্তর মুখে চলিয়া গেল। উঁহাকে দেখিয়া আমার মনে হঠাৎ কয়েকটী ভাবনার উদয় হইল। প্রথম ভাবিলাম, ইনি কি ডাক্তার বাবু? যদি ডাক্তার বাবু হয়েন, তাহা হইলে ইনি কি প্রকারে জেলের বাহিরে আসিলেন? ইনি কি জেল হইতে পলায়ন করিয়াছেন? যদি তাহাই হইত, তাহা হইলে সে সংবাদ আমরা ত নিশ্চয়ই প্রাপ্ত হইতাম? আমার দ্বিতীয় চিন্তা, ইনি পলায়ন করেন নাই, জেলের কোন কর্ম্মচারী কোন প্রকার প্রলােভনে পড়িয়া ইঁহাকে উহার বাড়ীতে লইয়া যাইতেছেন। এখনই আবার জেলে লইয়া যাইবে। কিন্তু পরক্ষণেই আবার মনে হইল, যদি তাহাই হয়, তাহা হইলে ইঁহার পরিহিত জেলের পােষাক কি হইল? গুপ্তভাবে জেল হইতে আসিবার কালে ভদ্রলােকের পরিধানােপযােগী কাপড় ইনি কোথায় পাইবেন? আমার তৃতীয় চিন্তা, ইনি ডাক্তার বাবু না হইয়া, সেইরূপ অবয়ব-বিশিষ্ট অপর কোন ব্যক্তি ত নহেন?
এই ভাবিয়া সে দিবস আমি সে সম্বন্ধে আর কোন ভাবনা ভাবিলাম না। পরদিবস পুনরায় এই ভাবনা আমার হৃদয় আশ্রয় করিল; সুতরাং এ সম্বন্ধে একটু অনুসন্ধান করা কর্ত্তব্য বিবেচনা করিয়া, আমি ডাক্তার বাবুর বাড়ীতে গমন করিলাম। সেইস্থানে তাঁহার পিতার সহিত সাক্ষাৎ হইল। তাঁহার নিকট অবগত হইলাম, প্রকৃতই ডাক্তার বাবু বাড়ীতে আগমন করিয়াছেন, সরকার বাহাদুর অনুগ্রহপূর্ব্বক তাঁহাকে মুক্তি প্রদান করিয়াছেন। কেন যে তিনি সেই