পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/১২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন > S >

  • সেখানে যাইতাম, কিন্তু রাত্রিবাস সেখানে হইত না। কখনও বা খালি পায়ে বৈকালে কি সকালে বেড়াইতে যাইতাম, অমনি শ্বশুরবাড়ী বেড়াইয়া আসিতাম। শ্বশ্রীমাতা প্রায়ই সেখানে খাওয়ার পীড়াপীড়ি করিতেন, কখন বা খাইতামও । কিন্তু বাড়ীতে শরৎ আমাকে যে সামান্য আহাৰ্য্য রাধিয়া খাওয়াইত তাহাই ভাল লাগিত। বধুঠাকুরাণী থাকিলে তিনিও রাধিতেন। তিনি শরতের চেয়েও ভাল রান্না জানিতেন, কিন্তু অপর জনের রান্না খাইয়াই মনে স্ফৰ্ত্তিটা বেশী হইত। বৈশাখ, জ্যৈষ্ঠ এই দুই মাসেই আমাদের গ্রামটা অতি মনোহর । গ্রামের চতুর্দিকেই বিস্তৃত শ্যামল প্রান্তর। আর প্রত্যেক গৃহস্থের প্রাঙ্গণ আমগাছে পরিপূর্ণ। প্রচুর আম হইত। ভদ্রলোকদের বাড়ীর আম প্রায়ই খুব মিষ্টি । তবে আমে পোকাও যথেষ্ট হইত। আমাদের বাড়ীতে অনেক পুরাতন - আম গাছ ছিল । এক জোড়া গাছ ছিল, তার নাম ‘ধইলা ও কাইল। একটার আম পাকিলে সুন্দর হলুদ ও লাল রংএর হইত—খুব রস যেন চিনির সরবণ্ড । অপরটার আম কাল বা গাঢ় সবুজ রং এর, ভিতরে লাল ও সুমিষ্ট গোলা। একটা বুড়োগাছের নাম ছিল ‘গোপাল ভোগ’—ছোট সাইজের আম, খুব মিষ্টি। আর একটা গাছ, ডোবার পারে, তার নাম ছিল। ‘চারা গাছ, অনেকটা মালদহের ‘ক্ষীরসাপাতি আমের মত । এই আমই সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট । দুঃখের বিষয় এই সবগুলি গাছই মরিয়া গিয়াছে। আমি নিজেই গাছে উঠিয়া আম পাড়িতাম ।