পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন । t:y " به " . ভাবিলাম, কনেষ্টবল আসিতেছে। কিন্তু যখন আলো নিকটবৰ্ত্তী হইল, তখন দেখি দুই জন ভীমকায় পাহাড়ী, দীর্ঘ ও দৃঢ় বংশষষ্ঠীহাতে অগ্রসর হইতেছে, তাদের একজনের হাতে একটা লণ্ঠন। কনেষ্টবলের ছায়াও দেখিলাম না। আমি ভয়ে অভিভূত হইয় পরিলাম। ভাবিলাম, “কনেষ্টবল জানিত আমার নিকট টাকা আছে। আমাকে হত্যা করিয়া সেই টাকা লইবার অভিপ্রায়ে ষড়যন্ত্র করিয়া এই দুই পাহাড়ী পাঠাইয়াছে।” মনে মনে ভগবানের নিকট প্রার্থনা করিয়া মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হইতে লাগিলাম। আমার money bagটা হাতে লইলাম এবং ভাবিলাম ইহাদিগকে প্রথমেই টাকা দিয়া জীবন ভিক্ষা করিব । গাড়োয়ানকে আর কিছু বলিতে সাহস হইল না । কেননা সেই দুই বলশালী পাহাড়ীর সহিত আমরা কিছুতেই নিরস্ত্র অবস্থায় যুদ্ধ করিতে পারিব না। নিকটে লোকালয় নাই। এই সব চিন্তা করিতেছি, তখন ঐ দুই ব্যক্তি আমার গাড়ী হইতে ২ গজ মাত্র দূরে আততায়ীর ভীষণমূৰ্ত্তিতে দণ্ডায়মান ! হঠাৎ তাদের একজন বলিয়া উঠিল,—“তুই কি হাকিম আছিস ?” আমি বলিলাম “হঁ৷” । তখন সে বলিল, “তোর কাছে আমাদের এক নালিশ”। তখন কিছু আশ্বস্ত হইলাম । শুষ্কপ্রাণে জল আসিল । সে বলিতে লাগিল—“তোর সঙ্গে ষে সিপাহি আসিয়াছে সে হামাদের উপর বড় জুলুম করিয়াছে, তুই তার বিচার করবি কিনা বল। আমি কাড়বিন্ধ বাঙ্গলার চৌকীদার, সে হামার কাছে এই লণ্ঠন দিয়া বলিল, হাকিম