পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२१२ ডেপুটীর জীবন একটু দূরে দাড়াইয়া আমরা এই অনির্বচনীয় শোভা দেখিতে লাগিলাম। এই হ্রদ হইতে একটী পার্বত্য সরিৎ বহিয়া গঙ্গায় পতিত হইয়াছে। কুণ্ডের একপাশ্বে কোন সময়ে একটা ইষ্টক নিৰ্ম্মিত দেওয়াইল প্রস্তুত হইয়াছিল। এখন তাহার ধ্বংশাবশেষ আছে । অনেক পরিব্রাজক এই “মতিঝরণা” দেখিতে আসেন । বর্ষাকালেই ইহার শোভা অারও মনোহারিণী হয়। পৰ্ব্বতের যে শিখর হইতে এই জলপ্রবাহ পড়িতেছে, সেখানে উঠিতে সাহস ও সময় হইল না। সেখানে কোন জলাশয় নাই, অথচ শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষ। সমস্ত ঋতুতেই এই অদ্ভূত জলপ্রবাহ নিরবচ্ছিন্ন চলিতেছে। ভগবান, তুমি পাষাণ হইতে জল উৎপাদন কর, কি মহিমান্বিত যাদুকর ! সন্ধ্যার পূর্বেই আমরা নামিতে আরম্ভ করিলাম। মহারাজপুর আসিয়া ট্রেইনে রাত্রিতে বাসায় ফিরিলাম। কার্য্যোপলক্ষে আমাকে প্রায়শঃই সাহেবগঞ্জ যাইতে হইত। সাহেবগঞ্জ মহারাজপুরের উত্তর । E. I. Railwayর একটা important station. এই স্থান গঙ্গার উপর, এখানে গঙ্গা পার হইয়া কাটিহার লাইনের মনিহারী ঘাট ষ্টেশনে যাইতে হয়। তথা হইতে পার্বতীপুর, কাটিহার, পূর্ণিয় প্রভৃতি স্থানে যাওয়া যায়। সাহেবগঞ্জে অনেক Anglo-Indian রেইলওয়ে কৰ্ম্মচারী Atos of CoR Gioiotă Inspection Bunglow Hée, সুন্দর ও সুসজ্জিত। অামি প্রায় সেই বাঙ্গলাতে থাকিতাম । ‘তেলিয়াগড়’।