পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৩২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

wЈ) У о ডেপুটীর জীবন তাহাদের কোন অসুবিধা না হয় তাহা দেখিতাম। প্রথমতঃ কয়েদীগণ জেইলে মৎস্য পাইত না। আমি এক জেলের সঙ্গে বন্দোবস্ত করিয়া সপ্তাহে ২১ দিন তাহাদের জন্য মৎস্তের ব্যবস্থা করিলাম। আমার compoundএ যথেষ্ট আম ছিল । মাঝে মাঝে দুএক ঝুড়ি কচি আম পাঠাইতাম, কয়েদীগণকে টক্‌ দেওয়া হইত। শেষদিকে কয়েদীগণ অামার প্রতি শ্রদ্ধাদ্বারাই অনুরক্ত হইয়াছিল। n এইভাবে প্রায় ৪/৫ মাস ব্যাপিয়া প্রায় আড়াই শত সাক্ষীর জবানবনদী গ্রহণ করিলাম। তাহাতে ইহা প্রমাণিত হইল আসামীগণ দলবদ্ধ হইয়া অনেকস্থানে ডাকাইতি করিয়াছিল । সরকারের সাক্ষী গেরিয়া প্রত্যেক ডাকাইতির পূর্ণ ইতিহাস বর্ণনা করিত। অন্য সাক্ষী সব বিভিন্ন পয়েণ্ট বা বিষয়ে তাহা সমর্থন করিত। গেরিয়া অতি প্রখর বুদ্ধিশালী লোক। সে সমস্ত প্রশ্ন ও কুট প্রশ্নের এমন অদ্ভূতভাবে উত্তর দিত এবং তাহার বক্তব্য এরূপ স্বাভাবিকভাবে বর্ণনা করিত যে হাকিম ও প্রতিপক্ষের উকিলদের মনেও একটা বিশ্বাসের ভাব উপস্থিত হইত। জবানবন্দী শেষ হওয়ার পর প্রায় সপ্তাহকাল সাক্ষ্য ( Evidence) আলোচনা ও রায় লিখিতে অতিবাহিত হইল। আমি সমস্ত আসামীদিগকে বিচারের জন্য দায়রায় সোপর্দ করিলাম। তখন তাহাদিগকে আরারিয়া সাব জেইল হইতে পূর্ণিয় সদর জেইলে পাঠান হইল। যেদিন পোলিসগাড" তাহাদিগকে আমার বাসার সম্মুখ দিয়া নিয়া যায়, তখন তাহার