পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৪০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిసె ডেপুটীর জীবন |

  • ^^^^^^^^^^^^^^^^^^^.*wwwwwwwwwwwwwwww*v^^^^

পতিত হইল। জঙ্গলের একস্থানে যুগপৎ ৫৬টী হরিণ হাতীর শব্দ পাইয়া ইতস্ততঃ ছুটিতে লাগিল। তাহার একটা কিছু দূর গিয়া দাড়াইয়া হাতীর দিকে চাহিবামাত্র, ভগী গুলি ছাড়িল। গুলি বোধ হয় লাগিল, কিন্তু হরিণ ছুটিয়া পালাইল । তারপর আরও ৩টা প্রকাণ্ড হরিণ বহুশাখা সমন্বিত সিং মস্তকে লইয়া ক্ষিপ্রগতিতে জঙ্গলের মাঝে দৌড়িতে লাগিল। আর গুলি করা হইল না । ভগী ভারি বিরক্ত হইয়া বলিল, “আপনার সঙ্গে থাকিলে শিকার হয়না, আপনারা যেরকম নড়াচড়া করেন” । যাহউক সেদিন পাউণ্ড দেখিয়াই মধ্যাহ্নে বাসায় ফিরিলাম। হরিণের মাংস কিছু বিতরিত হইল। কিছু আমরা আহার করিলাম। সেখানে এই আমার প্রথম হরিণমাংস ভক্ষণ। পরে প্রায় প্রতি সপ্তাহে ঐ মাংস খাইতাম । স্থানীয় লোক প্রায়ই হরিণ শিকার করিয়া মাংস বিলাইত । ভগী সেদিন বৈকালে কতকগুলি ছোট গুলি গালাইয়া বড় বড় গুলি প্রস্তুত করিল। পর দিন প্রভাতের ১ ঘণ্টা পূর্বে, মাহুত ও হাতী লইয়া আমাদের অজ্ঞাতসারে ঐ জঙ্গলে চলিয়া গেল। বেলা ৯টার সময় সে এক প্রকাণ্ড সম্বার জাতীয় হরিণ শিকার করিয়া আনিল। তাহার মাংস ৪০ ভাগ করিয়৷ বিলান হইল। প্রত্যেক ভাগে প্রায় ৪ সের মাংস। সেই ৷ হরিণের বিচিত্র শাখা সমন্বিত সিংটা এখনও আমার গৃহে আছে। । সমস্ত বর্ষ ভরিয়া এইরূপ হরিণ শিকার চলিত।