পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৪২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন । 83న সুন্দর হাসিয়াযুক্ত এক এণ্ডির শাল আমার স্ত্রীকে উপহার দিয়াছিলেন। আমার নিজগৃহে প্রফুল্ল এক তাত বসাইয়৷ বস্ত্রবয়ন শিখিয়াছিলেন। একজন শিক্ষয়িত্রী মাসিক ৮ বেতনে রাখিয়াছিলাম। সে কারুকার্য্য বিশিষ্ট অনেক বিছানার চাদর প্রভৃতি বুনাইয়া দিয়াছিল। দুঃখের বিষয় আসাম পরিত্যাগের পর এই বস্ত্রবয়নের আর চেষ্টা হয় নাই। বড়পেটাতে এক প্রাচীন ও বিখ্যাত ধৰ্ম্মানুষ্ঠান আছে । হিন্দু অধিবাসীগণ শঙ্কর দেও মাধব দেও প্রচারিত বৈষ্ণব ধৰ্ম্ম অনুসরণ করে। তাহারা দেব দেবীর উপাসনা করে না । এক প্রকাণ্ড জনসাধারণের ভজনালয় আছে, তাহাকে “সত্ৰ” বা "ছত্ৰ” বলে। এখানে নাম বা কৃষ্ণলীলার গান হয়। নাম গান অন্তে, সিক্ত তণ্ডুল, নারিকেল প্রভৃতি দ্বারা প্রস্তুত প্রসাদ বিতরিত হয়। এই সত্র হইতে তাহাদের সকল সামাজিক বিষয়ের মীমাংসা হয়। মদ্য পান, ব্যভিচার, অসত্যবাদিত প্রভৃতি সামাজিক পাপের শাস্তি এই সত্ৰ হইতে নিৰ্দ্ধারিত ও দেওয়া হয়। সত্রের একজন মালিক আছেন তাহাকে “অধিকারী” বলে । ইনি জনসাধারণ কর্তৃক মনোনীত হন । এই সত্রের নিয়মপ্রণালীগুলি যুক্তিযুক্ত ও উৎকৃষ্ট বলিয়া মনে হইত। এই “সত্র” একটা grand democratic institution, GIR * Common wealth যেখানে জনমত লইয়া সমস্ত সামাজিক ও নৈতিক বিষয়ের মীমাংসা হয়। বহু ধৰ্ম্ম ও জাতিবিশিষ্ট দেশে বড়পেটার সত্ৰ ।