পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৪৯৬

AeAAASAASAASAASAASAASAASAAASeeeAeSeAAASA SAASAASAAAS ૪ નજી' ডেপুটীর জীবন। লাগিল, আমার মনে হইল কোন মুহূর্তেই যেন জাহাজের নিম্নদেশ ফাটিয়া যাইবে এবং অতল জলগর্ভে আমরা নিমজ্জিত হইব । আমরা ২ কেবিনে ছিলাম। কেবিনের দরজা বন্ধ করিয়া রাখিলাম। প্রফুল্ল, বিভা, কন্যাগণ সকলেই ক্ৰন্দন ও ভগবানের নাম করিতে লাগিল । বেচার Leoর সংক্রস্তভাব দেখিয়া বুঝিলাম সে কুকুর হইয়াও বিপদের আশঙ্কা উপলব্ধি করিতেছে। আমি এক এক বার ক্যাবিনের দ্বার খুলিয়া বাহিরের ভীষণ দৃশ্য দেখি ও ভগবানের নাম করি। ষ্টীমারের সারেঙ্গকে আমাদের ভবিষ্যৎ ভাগ্য সম্বন্ধে পুনঃ পুনঃ জিজ্ঞাসা করিলাম। সে আমাদিগকে সাহস দিতে কিংবা নিজের বাহাদুরী দেখাইতে বলিল, “বাবু ব্যস্ত হইবেন না । ইহা অপেক্ষা ভীষণ ঝটিকার ভিতরেও আমি এই ষ্টীমার রক্ষণ করিয়াছি। ষ্টীমার কখনও ধ্বংস হইবে না। উপরের সমস্ত আবরণ ( ceiling ) যদি উড়াইয়া নেয়, তবুও চিন্তিত হইবেন না। প্রকৃত বিপদ উপস্থিত হইলে আমি তখন আপনাকে জানাইব ও আপনার পার্থেই থাকিব", তখন কিন্তু কতকটা আবরণ স্থানচু্যত হইয়াছে। কেবিনে জল পড়িয়া জিনিষপত্র ভিজিতেছে। প্রতি মুহূৰ্ত্তেই জলমগ্নের প্রতীক্ষা করিতেছি। এইভাবে প্রায় সমস্ত রাত্রি অনাহারে এক ভীষণ উদ্বিগ্নতায় রহিলাম। প্রভাতের এক ঘণ্টা পূর্বে ঝড়ের প্রবল বেগ কমিতে লাগিল। প্রভাত হওয়া মাত্রই প্রকৃতি অনেকটা শান্তভাব ধরিল। তখন সামান্য বেগে হাওয়া প্রবাহিত হইতে লাগিল ও অল্প অল্প বৃষ্টি হইতে