পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ডেপুটীর জীবন t 8 సె সস্ত্রীক, সসন্তান তাহার আতিথ্য গ্রহণ করিয়া আপ্যায়িত হইয়াছি । তারিণীর ৪ কন্যাই আমাকে জ্যাঠামহাশয় বলিয়া জানে। দুঃখের বিষয় কৰ্ম্মজীবনে দেশদেশান্তরে থাকার দরুণ অনেক দিন তাহাদের সহিত দেখা সাক্ষাৎ হয় নাই । টাঙ্গাইল অবস্থানকালে স্কুলে ভাল ছাত্র বলিয়াই অামার খ্যাতি ছিল । প্রত্যেক শ্রেণীতেই প্রথম হইয়া প্রমোশন পাইতাম ! দুষ্টামি ও খেলা-ইয়ারকিতেই অনেক সময় ব্যয় হইত। তবে অল্প সময়েই ক্লাশের পড়াটা শিখিয়া ফেলিতাম । গণিতের প্রতি আমার বিশেষ বিরাগ ছিল । অঙ্ক, জ্যামিতি, এলজেব্রা প্রায়ই বুঝিতাম না । মুখস্থ করিয়া প্রথম স্থান অধিকার করিতাম। যেবার তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ি, সেবার গ্রীষ্মাবকাশের সময় ময়মনসিংহ বেড়াইতে গিয়াছিলাম । কর্ণা নিবাসী yমহেশচন্দ্র ঘোষ, অামার দাদার সম্বন্ধী, ময়মনসিংহ জিলাস্কুলে ৫ম শ্রেণীতে পড়িতেন। ইনি কর্ণাবাসী / গোবিন্দ রায় মহাশয়ের কন্যা বিবাহ করিয়া কিছু ভূসম্পত্তি পাইয়াছিলেন । আমি তাদের বাড়ী প্রায়ই যাইতাম, তাহার স্ত্রী yশরৎসুন্দরী ঘোষ এক সরলপ্রাণ, সুশ্রী রমণী ছিলেন, পতিব্রতা ও সরলতার মূৰ্ত্তি । আমি সেখানে গেলে তিনি নিজহস্তে রান্না করিয়া আমাকে খাওয়াইতে বড় সুখী হইতেন । মহেশ বাবু আমাকে বুদ্ধি দিয়া আমাকে সঙ্গে করিয়া গ্রীষ্মের অবকাশ সময়ে ময়মনসিংহ রওনা হইলেন । পদব্রজে অবশ্য । পথে মধুপুরের জঙ্গল পার হইতে হয়। ৮ মাইল প্রশস্ত