পাতা:ডেপুটির জীবন - গিরিশ চন্দ্র নাগ.pdf/৫৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(tbrゲ ডেপুটীর জীবন। করিতাম। অধুনা সময় সময় মালা ছাড়াই মনে মনে নাম করি। প্রাতের ও রজনীর প্রার্থনা আমি অনেক বৎসর হইতে করিতেছি।. পৌত্তলিক পূজাপাৰ্ব্বণে বিশ্বাস না থাকিলেও আমি মূৰ্ত্তিপূজার নিকট সম্মান প্রদর্শন করি। পূর্বে বাড়ীতে ক্রিয়াকাণ্ড হইলে নিজেও পূজা করাইতাম। মন্দিরাদিতে গিয়াও পূজা দিয়াছি। এখন আর সেসব বড় হয় না। মন্দির ও মসজিদ কিংবা অন্য ভজনালয় শ্রদ্ধার চক্ষে দেখি । ব্রাহ্মসমাজে সাধারণ উপাসনায় যোগদান ভিন্ন আর কোন বাহিক অনুষ্ঠান করি না। n আমার ১৯২০ বৎসর বয়সে প্রথম বিবাহ হয়। প্রথমা স্ত্রী শরত তখন ১৩ কি ১৪ বৎসর বয়স্ক ছিলেন । বিবাহের o, পরই স্ত্রীর প্রতি কৰ্ত্তব্য বিষয় চিন্তা করিয়া নৈতিক জীবন । এইটাই প্রথম স্থির করিলাম যে অন্য রমণীরদিকে যেন কখনও মন আকৃষ্ট না হয়। আজ বৃদ্ধবয়সে। দয়াময় ভগবানের নিকট কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জানাইতেছি যে তিনি আমার এই সঙ্কল্প রক্ষা করিতে আমাকে সমর্থ করিয়াছেন। যশোহর ও দেওঘর বাসকালে আমি অনেক প্রলোভনে পতিত । হইয়াছিলাম, তখন. তিনি আমার দুর্বলহৃদয়ে প্রভূত বল। দিয়াছিলেন এবং আমাকে রক্ষা করিয়াছিলেন। পরে দু এক স্থানে ভাল সংসর্গ পাই নাই, কিন্তু কোন প্রলোভনে পদস্খলন বা চিত্তচাঞ্চল্য ঘটে নাই। বরিশালে দুইবারে প্রায় ৭৮ বৎসর ছিলাম, এখানে ব্রাহ্ম বন্ধুগণ ও অপর দুএকটা বন্ধু নৈতিক