পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮ম অঃ ] ইদিলপুর ও রামপাল লিপি। ২৩৭ উক্ত হইয়াছে যে রাজকবি ত্ৰৈলোক্যচন্দ্রকে হরিকেল ( বঙ্গ ) রাজলক্ষ্মীর আধার বলিয়। বর্ণনা করিয়াছেন । এই সময়েই ভট্টভবদেবষন্ত্র-নিয়ন্ত্রিত হরিবল্মা বা তদাত্মজ ( অজ্ঞাতনাম রাজার ) অধিকার হইতে বঙ্গরাজ্যের অন্তর্গত চন্দ্রদ্বীপ হস্তচু্যত হইয়াছিল। তৎপর বৈদ্যদেৰ যেমন কামরূপে তিৰ্ম্মদেবকে সিংহাসন ভ্ৰষ্ট করিয়া স্বাতন্ত্র্যাবলম্বন করিয়াছিলেন, সেইরূপ বোধ হয়, পালরাজগণের ও বন্মরাজগণের দুৰ্ব্বলাবস্থা অবলোকন করিয়া, ত্ৰৈলোক্যচন্দ্র-পুত্র শ্রীচন্দ্র ও বম্মবংশীয় শেষ নরপতিকে কোনও কারণে সিংহাসন ভ্রষ্ট করিয়া স্বয়ং “পরমেশ্বর ভট্টারক মহারাজাধিরাজ উপাধি গ্রহণ করিয়ু বঙ্গে সৰ্ব্বভৌম নরপতি সাজিয়া বসিয়াছিলেন, অথবা বৰ্ম্মরাজ্য অন্য কোনও কারণে উন্মুলিত হহলে, শ্রীচন্দ্রহ বঙ্গে একচ্ছত্ৰাধিপত্য বিস্তত করিয়৷ শত্ৰুকুলকে কারানিবদ্ধ করিয়া, বিক্রমপুর হইতে শাসন পরিচালন করিয়াছিলেন । আলোচ্য শাসনের অষ্টম শ্লোকে এইরূপ ঐতিহাসিক তথ্য ইঙ্গিতে স্বচিত হইয়ু থাকিবে । অপর দিকে এই সময়েই বিজয় সেন সাম্রাজ্যের দুরবস্থা ও দুৰ্ব্বলতা দেখিয়া, বরেন্দ্রীতে রাজ্য পাতিবার উপক্রম করিতেছিলেন, এবং পরে এই বিজয়সেন কর্তৃকই হত্ত্বও বৌদ্ধ প্রীচন্দ্রের সংস্থাপিত রাজ্যের বিনাশ সাধিত হইয়ু থাকিবে ।” “সংক্ষেপে বলা যাইতে পারে যে যখন বরেন্দ্রীতে কুমারপাল দেব এবং বঙ্গে হরিবল্ম দেব ও তদীয় পুত্ৰ সিংহাসনারূঢ় ছিলেন এবং বিজয় সেন গৌড়ে রাজ্যস্থাপনের মুযোগ অস্বেৰণ করিতে ছিলেন এবং কুমারপাল দেবের দক্ষিণ বাহুরূপী সচিব বৈদ্যদেব, তিঋদেবকে সিংহাসনচ্যুত করিয়া কামরূপে স্বতন্ত্র্য অবলম্বন করিয়াছিলেন, তখনই চন্দ্ৰৰীপ নৃপতি ত্ৰৈলোক্য চন্দ্রের পুত্র প্রচন্দ্ৰ বৰ্ম্মপ্লাজকে বিতাড়িত করিয়া অথবা অন্য কারণে বৰ্ম্মরাজের নাশ ঘটিলে পর, বঙ্গে স্বাতন্ত্র্যাবলম্বনপূর্বক বিক্রমপুর রাজধানী হইতে দেশ শাসন করিতে আয়ুস্তু করিয়াছিলেন "