পাতা:ঢাকার ইতিহাস দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৫৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩শ জঃ ] সমতট বঙ্গে বৌদ্ধধৰ্ম্ম । {te} বিক্রয় করিত। পৃথিবীর নানাস্থানে এইরূপ বহু মূৰ্ত্তি আবিষ্কৃত হইয়াছে। ঢাকা বিভাগের ভূতপূৰ্ব্ব স্কুল ইনস্পেক্টের স্বৰ্গীয় দীননাথ সেন মহাশয় এইরূপ একটি পাষাণময়ী প্রতিকৃতি রামপালের নিকটবর্তি কোন স্থান হইতে সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন। ইহা অদ্যাপি ঢাকা গেণ্ডারিয়া হেরল্ড পত্রিকার কার্যালয়ে রক্ষিত আছে। সাভার অঞ্চলে বৌদ্ধমূৰ্ত্তি খোদিত বহু ইষ্টক আবিষ্কৃত হইয়াছে। সাভারের অনতিদুরবর্তি বাজাসন নামক স্থানে একটি বৌদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠিত ছিল বলিয়া কেহ কেহ অনুমান করিয়া থাকেন। এই বাজাসনের কিছু দূরেই ধৰ্ম্মরাঞ্জিকা বা ধামরাই গ্রাম। বৌদ্ধ নৃপতি হরিশ্চত্রের রাজধানী, বাজাসন হইতে অধিক দূরবর্তী নহে। বিক্রমপুর, সুবর্ণগ্রাম, ও ভাওয়াল অঞ্চলে অনেক বৌদ্ধমূৰ্ত্তি পাওয়া গিয়াছে। সুতরাং একসময়ে এই সমুদয় স্থানে যে বৌদ্ধধৰ্ম্মের প্রভাব বিশেষভাবে বিস্তৃত হইয়াছিল তদ্বিষয়ে কোনও সন্দেহ নাই। জয়দেবের অমরলেখনী প্রস্থত গীতগোবিনে বুদ্ধদেব দশাবতার মধ্যে স্থান পাইয়াছেন। সেন রাজগণের অধঃপতন কালেও বৌদ্ধধৰ্ম্ম সমতট-বদ হইতে বিদূরিত হয় নাই। ১১৯৪ শাকে বা ১২৭২ খৃষ্টাব্দে “পরম ভট্টারক মহারাজাধিরাজ পরম সৌগত মধুসেন” সমতট বঙ্গের সিংহাসনে সমাসীন ছিলেন। সেনরাজগণ পরম মাহেশ্বর, পরম বৈষ্ণব, পরম নারসিংহ, পরম লেীর, বলিয়৷ রিচিত হইলেও তাছাদেরই বংশধর মধুসেন বৌদ্ধ ধৰ্ম্মাবলম্বন কৱিন্তে চি বোধ করেন মাই।