পাতা:ঢাকার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২২২ ঢাকার ইতিহাস। [*म् १ः বিরুদ্ধ গুণ বিশিষ্ট কাষ্ঠ দ্বারা নৌকা প্রস্তুত করিলে উহা মুখপ্রদ হয় না বলিয়া কীৰ্ত্তিত আছে। 橡 লঘু যৎ কোমলং কাঠং মুঘটং ব্ৰহ্ম জাতি তৎ। দৃঢ়াঙ্গং লঘু ধং কাঠমঘটং ক্ষত্র জাতি তৎ ॥ কোমলং গুরু ধৎ কাষ্ঠং বৈশুজাতি তছুচ্যতে। দৃঢ়াঙ্গং গুরু ধং কাঠং শূদ্র জাতি তচুচ্যতে ॥ 鬱 豪 豪 豪 肇 ক্ষত্রিয় কষ্টে-ঘটিত ভেজে মতে সুখ সম্পদং নৌক । অন্তে লঘুভি: স্বভৃচৈ বিদধতি জল পদে নীেকং ॥ বিভিন্ন জাতিদ্বয় কাষ্ঠ জাত ন শ্রেয়সে নাপি মুখায় লোক । নৈষ চিরং তিষ্ঠতি পচ্যতে চ বিভিন্মতে বারিণী মজ্জতেচ ৷ ন সিন্দুগাষ্ঠাৰ্ছতি লৌহ বদ্ধং তল্লোহ কান্তৈৰ্ছিয়তে হি লেহম্। বিপষ্ঠতে তেন জলেষু নীেক গুণেন বন্ধং নিজগাদ ভোজঃ” ॥ কথিত আছে মহারাজ মৌর্য চন্দ্রগুপ্তের সময়ে পূৰ্ব্বাঞ্চলের নিমিত্ত নৌসেনা বিভাগের স্বষ্টি হয়। নদীবহুল দেশ বলিয়া এতদ্দেশে বহু প্রাচীনকাল হইতেই নীেবিভাগের বিশেষ প্রয়োজনীয়তা ছিল। পাল রাজগণও নীেবিভাগের বিশেষ আদর করিতেন। পালরাজগণের তামশাসনাদি পাঠে অবগত হওয়া যায় যে, নৌবিভাগের অধ্যক্ষ “তারিক” নামে অভিহিত হইতেন। প্রাচীন কাল হইতেই বাঙ্গালীরা ডিঙ্গা সাজাইয়া সমুদ্রে যাতায়াত করিত। সমুদ্র গমনাগমনের জষ্ঠ পূৰ্ব্ব বঙ্গের নাবিকগণ সমুদ্র পথে বিশেষ দক্ষ ছিল। কবিকঙ্কন, কেতক দাস, ক্ষেমানন্দ প্রভৃতি প্রাচীন ক বগণ বাঙ্গাল মাঝিদিগকে লক্ষ্য করিয়া পরিহাস করিয়াছেন ।