পাতা:ঢাকার ইতিহাস প্রথম খণ্ড.djvu/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२ ঢাকার ইতিহাস । [ •ष ९: প্রসিদ্ধ গ্রাম সমূহ কালীগঙ্গার তটে বিদ্যমান ছিল। পরে শত বৎসরের মধ্যে কীৰ্ত্তিনাশা নদীর উৎপত্তি হইয়া বিক্রমপুরের বক্ষদেশ ভেদ করিয়া এবং নয়াভাঙ্গনী নদী উদ্ভূত হইয়া ইদিলপুরের প্রান্তদেশ ধৌত করিয়া পদ্মা ও মেঘনাদ পরস্পর সংযুক্ত করিয়া দিয়াছে। ব্ৰহ্মপুত্র মেঘনাদের সহিত মিলিত হইয়। যখন প্রবাহিত হইত, তখন উহার স্রোতবেগ প্রবল থাকায় পদ্মাকে বহু পশ্চিমে রাখিয়াছিল। পরে আবার যখন ব্ৰহ্মপুত্রের সহিত মেঘনাদের ততটা সম্বন্ধ রহিল নী, এবং ব্রহ্মপুত্র যখুনার অঙ্গে অঙ্গ মিশাইয় গোয়ালদের নিকটে পদ্মার সহিত সম্মিলিত হইল, তখন পদ্মার বেগই প্রবল হইয়। ক্রমে পশ্চিম দিক পরিত্যাগ করিয়া পূৰ্ব্বদিকে অগ্রসর হইতে লাগিল। তাহার ফলস্বরূপষ্ট কীৰ্ত্তিনাশা ও নয়াভাঙ্গনী নদীর উদ্ভব । ১৭৮৪ খৃঃ অন্ধের মানচিত্রে কীৰ্ত্তিনাশার নাম পরিদৃষ্ট হয় না। ১৮৪০ খৃঃ অব্দে মিঃ টেইলার, তদীয় ‘টপোগ্রাফি অব ঢাকা” পুস্তকে “কাথারিয়া” বা “কীৰ্ত্তিনাশা” নদীর বিষয় উল্লেখ করিয়াছেন। চাদ ও কেদার রায়ের এবং নওপাড়ার চৌধুরীদিগের কীৰ্ত্তিধ্বংশ করায় উহার নাম কীৰ্ত্তিনাশা হইয়াছে। পরে মহারাজ রাজবল্লভের কীৰ্ত্তিনিকেতন ভগ্নকরিয়া নামের সার্থকতা সম্পাদন করিয়াছে। এই নদী প্রথমে “রথখোলা” পরে “ব্রহ্মবধিয়া,” পরে “কাথারিয়া” এবং সৰ্ব্বশেষে “কীৰ্ত্তিনাশা” নামে পরিচিত হইয়াছে। এই নদী দ্বারা বিক্রমপুর ঢ় ভাগে বিভক্ত হইয়াছে। - ধলেশ্বরী—ধলেশ্বরী যবুনার একটি শাখানদী। বর্তমান সময়ে এই নদী যুবুনার শাখানদী বলিয়া পরিচিত হইলেও যখুনা হইতে এই নদী অনেক প্রাচীন। ধলেশ্বরী ময়মনসিংহের অন্তঃপাতী সলিমাবা নামক স্থানের নিকট ধরুন হইতে বহির্গত হইয়াছে। এই স্থান