পাতা:তত্ত্বকথা.pdf/১০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তত্ত্ব কথা।
৯৫

তখন সে আর সমাজকে উল্লংঘন কর্‌বে কি করে? সমাজের বাণীইত তার কর্ত্তব্যাকর্ত্তব্য স্থির করে দিচ্ছে; তাকে ছাড়া তার চলেন; তার বিবেকত সমাজেরই অনুরণন। তবে সেই সমাজ যখন অধর্ম্মের দিকে, অন্যায়ের পথে চলেছে, তখন সে কেমন করে অন্য পথে চলতে পারে। বাস্তবিক্‌ই তা সর্ব্বোতোভাবে পারে না। সেই জন্যইত সমাজের যখন কোনও দুরবস্থা আসে তখন সেই সমাজের নেতারা পর্য্যন্ত ঠিক থাক্‌তে পারে না-সমাজের দোষ তাদের উপর সংক্রামিত হয়ে পড়ে; চারিদিকের ধূলোয় তাঁরা পথ দেখতে পান না, অন্ধকারের ঘোরে ভীষ্মের মতন লোক, চোখের সম্মুখে প্রকাশ্য রাজসভার মধ্যে দ্রোপদীকে অতি নির্লজ্জভাবে, অতি নৃশংসভাবে অপমানিত হোতে দেখেও, কথা কহিলেন না। যিনি সত্যের জন্য আজীবন ব্রহ্মচারী, সমস্ত রাজ্য অপরকে ছেড়ে দিলেন, তিনি কিনা “অন্নস্য পুরুষো দাস” বলিয়া অসত্যের অধীনতায় জীবন বিক্রয় করিয়া দিলেন। যে ধর্ম্মপুত্র যুধিষ্ঠির ধর্ম্মের জন্য প্রাণসমা ধর্ম্মপত্নী দ্রৌপদী, নিজের একান্ত আজ্ঞাবহ ভ্রার্তৃবর্গ, সমস্ত রাজ্য, একেবারে