পাতা:তত্ত্বকথা.pdf/২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১৮
তত্ত্ব কথা।

কীর্ত্তন করিতেছে। যদি তিনি তাঁহাকে কেবল তাঁহার বৃহতের মধ্যেই চাহিতেন, তবে আর ক্ষুদ্রের কোনও প্রয়োজনই থাকিত না, তাঁহার অনস্তুের মধ্যেই যদি তিনি আবদ্ধ হইয়া থাকিতেন তাহা হইলে সেইখানেই তাঁহার অনস্তত্ব নষ্ট হইয়া যাইত তাই তিনি সকল ক্ষুদ্রের মধ্য দিয়া আপনাকে প্রকাশ করিতে করিতে এই জগতের পরম বিচিত্রতার সৃজন করিয়াছেন; আমরা কিন্তু অনেক সময়েই তাঁর এই বিচিত্র প্রেম ঠিক পাই না। তিনিই ক্ষুদ্র হইয়াছেন, তিনিই আমার দ্বারপ্রান্তে আসিয়া বাঁশী বাজাইয়াছেন ইহা ঠিক পাইলেও তিনি যে কোন্‌ পথে আসিয়াছেন তাহা ঠিক পাই না; তাই যখন তাঁহাকে আমরা দ্বারপ্রাস্তে পাই তখনই গ্রহণ করিতে পারি, নচেৎ আমরা ইচ্ছামত যে তাঁহাকে খুজিয়া পাইব তাহার আর উপায় থাকে না। কাজেই তাঁহার সহিত সুখমিলন আমার অধীন না হইয়া তাঁহারই আয়ত্ত হইয়া থাকে; আমার কাজ বুঝিয়া, আমার ব্যগ্রতা দেখিয়া, আমার আবেগ দেখিয়া, তিনি আজ একুঞ্জে, কাল ওকুঞ্জে, দেখা দেন বটে কিন্তু এই কুঞ্জরাজির মধ্য দিয়া তাঁহার