পাতা:তত্ত্বকথা.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৪
তত্ত্ব কথা।

না বুঝে তাঁকে একেবারে নিশ্চল বলে যেই একেবারে স্থির করে ধরা গেল, তখনই তার যে বাস্তবিক স্বরূপ, তার যে সেই চল স্বভাব সেটা রুখে দাঁড়াল। রুখে দাঁড়িয়ে, কোনও রকম না কোনও রকম করে তাঁ দের মুখ দিয়েই সে তাকে মানিয়ে নিলে। স্পষ্টতঃ তাকে দেখতে পেলে, স্পষ্টতঃ তাকে মান্‌লে অনেক গোলমালের হাত থেকে বাচা যেত, কিন্তু তিনি যখন দেখলেন যে তাকে স্পষ্টতঃ মানা হোল না, তখন তিনি ভাবলেন যে স্পষ্টতঃ না মানলেও তোমাকে দিয়ে আমি মানিয়ে নেবই নেব, ছাড়ব না এবং এক ভাবে না এক ভাবে সেই তাকে মানতেই হোল। কিন্তু এতেও তিনি ছাড়লেন না যতদিন স্পষ্ট করে তিনি না মানিয়ে নিতে পারবেন ততদিন তিনি ছাড়বেনও না। তাই তিনি এর পরেই রামানুজের ভিতর দিয়ে বললেন যে, মায়াটা মিথ্যা নয়, তাঁরই শক্তি। জীব, জড়জগৎ এবং ঈশ্বর এ সমস্তই সেই ঈশ্বর, জীব ও জড়জগৎ ঈশ্বরেরই অবয়ব বা দেহ। জীব ও সত্য, জড়ও সত্য, ঈশ্বরও সত্য। সত্যব্রহ্ম বলতে কোনটাই বাদ দেওয়া চলবে না। যেমন বেল বলতে