পাতা:তত্ত্বকথা.pdf/৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৮
তত্ত্ব কথা।

রয়ে গেল যে অস্ত বলে যেটাকে কল্পনা করা গেল, সেটা সেই খানেই রয়ে গেল, তার আর তাকে ছাড়িয়ে যাবার উপায় থাকল না। কাজেই সে যেন সেখানে এমন একটা বাধার মধ্যে এসে পড়ল যার থেকে সে সহজে উঠতে পারবে না। সেই খানেই তার একটু গোল বেধে গেল। সে যে সকল গুলির মধ্যে এমন করে আনা গোনা করবে যাতে তার কোনও জায়গাকেই আদি কি মধ্য বলার যো থাক্‌বেনা, সেটি আর ঘটে উঠতে পারলনা। কাজেই তার স্বাভাবিক অনস্তত্বটুকু আর থাকলনা, তাঁর অনন্তত্ব যেন ধার করা অনন্তত্ব হয়ে পড়ল, আমারই কল্পনার চক্ষে অনন্ত হোল। কাজেই সে আমারই গণ্ডীর মধ্যে পড়ে থেকে আমারই মতন ছোট হয়ে পড়ল, তাই রামানুজের মধ্য দিয়ে তিনি তাকে ঠিক ফোটাতে না পেরে শ্রীকণ্ঠ প্রভৃতি পরবর্ত্তী বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মধ্য দিয়া ও পরিশেষে মহাপ্রভু চৈতন্যদেবের মধ্য দিয়ে আপনাকে ফোটাতে চেষ্টা কর্‌লেন। তার অচিস্ত্য দ্বৈতাদ্বৈতের মধ্যে, তিনি সত্যকে দ্বৈত কি অদ্বৈত, এর একটার মধ্যেও নির্ব্বাচন করা যায়না এই