পাতা:তত্ত্বকথা.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তত্ত্ব কথা।
৬৩

অভাব, তার দৈন্য, তার অপূর্ণতা বুঝতে পারল। সে মনে করতে লাগল যে আমি যদি অনন্ত থেকেই এসে থাকি তবে আমার মধ্যেও ত সেই অনন্তই রয়েছেন। তবে আমি কেননা অনন্ত হতে পারব, অনন্ত আমাকে হওয়াই চাই, তখন সে প্রাণপণ করে ছোটে। যে অনন্ত থেকে এসেছে সেই অনন্তই তখন তার বাপ হয়ে দাঁড়ায় এবং তখন সে ক্রমশঃ ক্রমশঃ সেই বাধাকে অতিক্রম করে আনন্তর মধ্যে ফিরে যায়, এবং এই যাতায়াতের দ্বারাই অনন্ত তাঁর নিজের স্বরূপকে নিজের মধ্যে লাভ করেন।

 এখন একটা কথা বলতে হয় এই যে, ভূমা যখন ক্রমশঃ ছোটর মধ্য দিয়া এসে একেবারে ছোটতে পৌছিল, সে পর্যান্তের সংক্ষিপ্ত ইতিহাসের একটা মোটামুটী বিবরণ আমাদের আন্দাজ করে নিতে হবে। ভুমার বিকাশের কোনও একটা জায়গা ধর humanity বা মানবজাতি। এখন এই মানবজাতির মধ্যে যে সত্যটা নিভৃত হয়ে রয়েছে, মানব সমাজের মধ্যে তার একটা বাধা লুক্কায়িত হয়ে রয়েছে। অর্থাৎ যেই আমরা শুনিলাম যে মানবজাতি বলে একটা সত্য ফুটেছে, সেই ফোটার