এবং একটু একটু করে ফোটাতেও লাগ্ল, এবং তার চেষ্টার ফলেই সমাজ জেগে উঠ্ল; সমাজের অঙ্গে অঙ্গে ভিন্ন ভিন্ন মানব সম্প্রদায় ফুটে উঠ্ল; এবং তার মধ্যে ধীরে ধীরে ব্যক্তিজীবনগুলি জেগে উঠ্তে লাগল। সেই বিরাটই ক্রমশঃ প্রসারিত হতে হতে ক্ষুদ্রে এসে পৌছেচেন। কারণ বিরাটের আর বিরাটের দিকে ত বাড়বার কোনও উপায় নাই। তাঁর যত সঙ্কোচ, যত বাধা, সে সবই হচ্ছে ক্ষুদ্রের দিকে। বিরাট্ ত বিরাট্ হয়েই আছে, তার যা কিছু বাকী সে হচ্ছে ক্ষুদ্রের দিকে। বিরাট্কে যদি বাড়তে হয় ত তাকে সেই ক্ষুদ্রের দিকেই বাড়্তে হবে। সেই দিকেই তার যত সংকোচ। তাই সত্য ব্রহ্ম যখন দেখলেন যে, তিনি সেই এক বৃহৎই হয়ে আছেন, সেদিকে আর এগুলার কোনও পথ নাই, তখন তিনি ভেঙ্গে দ্বিধা হলেন। তদৈক্ষত বহুশ্যাম্। এমনি করে নিজকে আরও আরও ভেঙ্গে ভেঙ্গে ক্রমশঃ ক্ষুদ্রেতে, ব্যক্তিতে এসে পৌছেচেন। এই যে একটার পর আর একটা এসেছে, এগুলোকে যেন সব আলাদা আলাদা মনে করা না হয়। এরা সব ছাড়া ছাড়া নয়, এদের মধ্যে পরস্পরের খুব একটা গাঢ় সম্বন্ধ আছে। এরা
(৫)