পাতা:তত্ত্ববিচার.pdf/৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
তত্ত্ববিচার


প্রবল পবন দেশে দেশে ধায়,
আনন্দে মাতিয়া তব গুণ গায়,
তরু লতা পাতা সবারে নাচায়—
দেখি তায় গো—আপনি নাচিয়া কাঁপাঁয় মেদিনী॥

চিন্তাময়ী তারা ব্যাপ্ত চরাচরে,
তবু না চিনিলাম চিন্ময়ী মা তোরে,
গুপ্ত রূপে পরিব্রাজকের অন্তরে—
দেখা দে মা—মদনমর্দ্দন-মনোহারিণী॥


বৈরাগ্য।[১]

 অনেকের বহির্ব্বিষয়ে বৈরাগ্য দেখিয়া লোকে সাধারণত: উহাকে যেরূপ কঠোর ভাবিয়া থাকে, বাস্তবিক পক্ষে কিন্তু উহা ততদূর ক্লেশকর কি না ইহা একবার বিচার করা আবশ্যক, এবং যাঁহারা ঈদৃশ বৈরাগ্য অবলম্বন করিয়া আপনাদিগকে যথার্থই বিরাগী মনে করেন, তাহাই বা কতদূর যুক্তিসঙ্গত, ইহাও পূর্ব্বে না বুঝিলে আমরা বৈরাগ্যের স্বরূপ লক্ষণ নির্ণয় করিতে কখনই সক্ষম হইব না। সুতরাং বৈরাগ্যের

  1. কাশীতলবাহিনী গঙ্গার তটে উপবিষ্ট ভদ্রমণ্ডলী মধ্যবর্ত্তী জনৈক জিজ্ঞাসু কর্ত্তৃক উত্থাপিত প্রশ্নের মীমাংসাকালে পরিব্রাজক শ্রীমৎ শ্রীকৃষ্ণানন্দ স্বামী মহোদয়ের কথিত উপদেশের সংক্ষিপ্ত বিবরণ। ১৮১৭ শকাব্দা, বৈশাখ মাস।