পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (অষ্টম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিঞ্চ ১৭৯s ণসীতে গমন করিলেন । শাক্যসিংহ ক্রমে ক্ৰমে বল প্রাপ্ত হইয়া—স্থানান্তরে গমন পূর্বক তত্ত্ব চিন্তায় নিমগ্ন হষ্টলেন। কএক বৎসরের পর তিনি অভিপ্রেত তত্ত্বজ্ঞান লাভ করিলেন। ললিত বিস্তর গ্রন্থে উল্লিখিত হইয়াছে যে, তিনি তত্ত্বজ্ঞান লাভ করিয়া বুদ্ধ হইলেন । তিনি স্বয়ং তত্ত্বজ্ঞান লাভ করিয়া পরিতৃপ্ত থাকিতে পারলেন না ; সেই জ্ঞান প্রচার করিতে কৃতসংকল্প হইলেন । কিন্তু প্রথমে তাহার এই সংশয় জন্মিল যে, তাহার ধৰ্ম্ম লোকের বোধগম্য হইবে না । এই জন্য তিনি স সা প্রচারে প্রবৃত্ত হইতে পারেন নাই | পরিশেষে প্রচারের কম নাই প্রবল হইয়া উঠিল। তিনি একবারে । বারাণসী নগরে গমন করিলেন । পূর্বে কিন্তু তিনিও তীক্ষাকে লইয়া যাইবার পরিউাঙ্গকে পরিত্যাগ করিয়াছিলেন, এক্ষণে বৰ্বে স্বয়ং বুদ্ধের ধৰ্ম্ম অবলম্বন করিলেন। প্রথমেই র্তাহারা বুদ্ধের ধৰ্ম্ম অবলম্বন । জ্ঞানকৌণ্ডিল্য প্রভৃতি যে পাচ জন সঙ্গচর করিলেন । তৎপরে আরও পাঁচ জন আসিয়া তাহার শিষ্য হন । অতঃপর যখন তিনি মগধে গমন করেন, তখন ষাটি জন শিষ্য র্তাহার সমত্তিব্যাহারে ছিলেন । মগধ দেশে আগমন করিলে মগধাধিপতি বিশ্বসার উীহাকে স্বীয় রাজধানী রাজগৃহে আহান করিয়া কলন্তকা নামক একটি “বিহার" (বৌদ্ধ সমাজ) নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন । এই স্থানে মাঙ্গল্য ও শারিপুত্র নামে দুই প্রধান ব্যক্তি র্তাহীর ধৰ্ম্ম অবলম্বন করেন । কথিত আছে, ইছারা ধৌদ্ধধৰ্ম্ম সংক্রান্ত অনেক গ্রন্থ প্রচার করেন । মহাকাত্যায়ন নামে আর এক ব্যক্তিও এই স্থানে বৌদ্ধধৰ্ম্ম অবলম্বন করেন ; শাক্য সিংহ র্তাহাকে ধৰ্ম্ম প্রচারের জন্য উজ্জয়িনী নগরীতে প্রেরণ করিয়াছিলেন । তিনি তথায় গমন করিয়া গুরুর দাভিলাষ সম্যক ৰূপে পুর্ণ করিতে সমর্থ হইয়াছিলেন । শাক্যসিংহের জীবন চরিত | I i SS"> শ্রাবস্তী নগরের এক ধনবান ব্যক্তি বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম অবলম্বন করিয়া অযোধ্যা প্রদেশে জেতবন নামক প্রসিদ্ধ উদ্যানে অনেক প্রাসাদ নিৰ্ম্মাণ করিয়া বিছার স্থাপন করেন এবং সশিষ্য বুদ্ধকে আহ্বান করিয়া কিছু কাল বাস করান। শাক্যসিংহ এই স্থানে থাকিয়া অনেক ধৰ্ম্মস্থত্র প্রচার করেন এবং কোশলরাজ প্রসেনজিৎ প্রভৃতি অনেক ব্যক্তিকে স্বীয় মত অবলম্বন করান । এই সময়ে রাজা গুদ্ধোদন পুত্রকে পুনরায় গৃহে আনিবার নিমিত্ত আট জন দূত প্রেরণ করেন, তাহারা শাক্য সিংহের নিকটে আসিয়া প্লাছার ধৰ্ম্ম অবলম্বন পূর্বক সমভিবাtহারে অবস্থান করিতে লাগিল । তদর্শনে রাজা আপন মন্ত্রীকে প্রেরণ করেন, তৎপরে রাজ কপিলবস্তুতে ন্যগ্রোধ নামে একটি বিহার নিৰ্ম্মাণ করিয়া দেন । শাক্য সিংহ বুদ্ধ হইবার দ্বাদশ বৎসর পরে ঐ বিহারে অবস্থান করিয়া পিতার সহিত সাক্ষাৎ করেন । তথায় শাক্য বংশীয় সমস্ত ব্যক্তিই বৌদ্ধ ধৰ্ম্ম অবলম্বন করেন এবং তন্মধ্যে অনেকে সংসার ত্যাগ করিয়া ভিক্ষু হন । শাক্য সিংহের পত্নী গোপাও অপরাপর অনেক স্ত্রী লোকের সহিত র্তাহার ধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়া ভিক্ষু বৃত্তি অবলম্বন" করেন । মধুরা উজ্জয়িনী প্রভৃতি নানা স্থানে বাস করিয়া শাক্যসিংহ অনেক ব্যক্তিকে জাপন ধৰ্ম্মে দীক্ষিত করেন। গঙ্গার ছুই পারের দুই রাজা পরম্পর বিবাদে প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন; শাক্য সিংহ সেই বিষাদ ভঞ্জন করিয়া উভয়কেই স্বীয় ধৰ্ম্মে জানয়ন করি८लन ५ ठेखङ्ग #ांरब्रव्र ब्रांचा अह६ श्रेन्नছিলেন ।