পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (অষ্টম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S • y হেলন স্থলেই নানা প্রকার গুরুতর শাসন বাক্য লিপিবদ্ধ কইয়াছে, তখন বোধ হয় *াহাদিগের এই ৰূপ অতিপ্রায় ছিল যে র্যাগর। উtহাদিগেয় ন্যায় তত্ত্বদশী, উস্কিার শাসনের প্রতি কিছুমাত্র দৃষ্টিপাত না করিয়া অনায়াসে শুদ্ধ কারণ ও যুক্তি উপলব্ধি করিয়াই উক্ত বিধাননুসারে কার্য্য করিবেন: আর র্যাহারা অপ বুদ্ধি, তাছার প্রত্যেক বিধানের সুক্ষ কারণ নিচয় উপলব্ধি পুৰ্বক কাৰ্য্য করিতে অসমর্থ, এজন্য র্তাহার প্রথমতঃ শুদ্ধ শাসন ভয়েই কার্য্যে প্রবৃত্ত হই তত্ত্ববোধিনী পত্রিক বেন, পরে জ্ঞান চক্ষু উক্ষ্মীলিত হইলে যখনই । র্তাহার যে বিষয়ের কারণ জিজ্ঞাসু হইবেন, তখনই তত্ত্ব-বিশারদ আচার্যের নিকট কষ্টতে তাঙ্কণ জানিয়া লইছে পরিবেন। তত্ত্ববেত্ত আচার্যের যে সম্পূর্ণ অসম্ভাব ঘটিবে তাহা বোধ হয় তাহারা স্বপ্নেও জানিতেন না, জানিলে, শাস্ত্র প্রণয়ন কfল অবশ্যই অন্য ভাবে লেখনী ধারণ করিতেন । শাস্ত্রকারগণ যে সকল বিষয় অতীধ পবিত্র ও অবশ্য কৰ্ত্তব্য বলিয়া বিধি-বদ্ধ করিয়া গিয়াছেন, অধুনা অনেকেই তত্তাবৎ নিতান্ত ভ্রম সঙ্কল মনে করিয়া ঘৃণা করেন। এক্ষণকার প্রত্যেক ব্যক্তির প্রতিদিনের আচার ব্যবহার পর্য্যবেক্ষণ করিলে এই ৰূপ ব্যভিচার দোষের যে কত শত দৃষ্টান্ত স্থল প্রাপ্ত হওয়া যায়, তাহ গণনা করা যায় ন" । অধুনাতন বিদ্যা ও সভ্যতাভিমানী মহোদয়গণ শাস্ত্রীয় বিধানাfদর প্রতি এৰূপ বক্র নয়নে দুষ্টিপাত করেন, যেন তাহাদিগের সমুদায়েরই অভ্যন্তরে মিথ্যা ও কল্পনা ভিন্ন কিছু মাত্র সত্য নাই । এৰূপ করিবার ফলে র্তাহার ক্রমশঃ শারীরিক স্বাস্থ্যভ্রষ্ট, মনের তেজঃস্রষ্ট এবং আত্মার সত্ত্বগুণ ভ্রষ্ট হইতেছেন, কিন্তু পরিতাপের বিষয় ৮ ফল,২ভাগ এই যে, কিছুতেই শিক্ষা পাইতেছেন না । র্তাহারা আপনাদিগের দম্ভভরে যাহা ইচ্ছা করিতে পারেন, কিন্তু যাহাদিগের বিদ্যা ও সভ্যতার উপক্রমণিকা মাত্র অভ্যাস করিয়াই তাছার অভিমানী হইয়াছেন, র্ত হাদিগের মধ্যে অনেক অগ্রগণ্য ব্যক্তিও অদ্যপি এদেশের প্রাচীন শাস্ত্রাদির প্রতি বিরাগ প্রকাশ করেন নাই । শাস্ত্রাদিতে যে সমুদায় কাৰ্য্য বিধান নির্দিষ্ট হইয়াছে, তাঙ্গ বিশেষ ৰূপে পর্য্যা লোচনা করিয়া দেখিলে তৎপ্রণেতাদিগের বিবিধ বিষয়ক বিদ্যা বক্তার সুম্পষ্ট পরিচয় প্রাপ্ত হওয়া যায় । তঁহাদিগের বিস্তর উপদেশ আপাততঃ অতীব আকৰ্ম্মণ্য ও নিরর্থক বলিয়া প্রতীয়মান হয় বটে, কিন্তু কিন্তু বৰ্ত্তমান শতাব্দীতে র্তাশদিগের সদৃশ । তস্তাবত্বের যুক্তি ও উদ্দেশ্য অনুসন্ধান করিয়া দেখিলে তাঙ্কাfদগকে আর কখনই সে ৰূপ বোধ কয় না । কিন্তু শাস্ত্রকারদিগের সমুদায় বিধানষ্ট যে ভ্রমপ্ৰমাদগুনা ও বর্তমান কলের উপযুক্ত, এরূপ কোন মতেই বিশ্বাস করা যায় না ; কারণ র্তাহার যখন মনুষ্য, তখন কি ৰূপে ঈশ্বরের ন্যায় অভ্রান্ত ও ভাবী কালের সম্পূর্ণ পরিণ জ্ঞতা হইবেন ? আমরা যদি এইক্ষণে ক্টাচাদিগের প্রণীত শাস্ত্র নিচয় সাধ্য মতে আলোচনা করিয়া গুণের ব্যাখ্যা ও দোষের সংস্কার করি, তাছা হইলেই আমাদিগের সৰ্বাঙ্গীন উন্নতির পথ পরিষ্কত হইতে পারে । অদ্য আমরা যে কয়েকটি দৃশ্যতঃ সামান্য শাস্ত্রীয় ব্যবহার-বিধামের তথ্যালোচনায় প্রবৃত্ত হইতেছি, তাহাদিগের গুঢ় অভিপ্রায় হৃদয়ঙ্গম করিবার নিমিত্ত কিঞ্চিৎ বিশেষ षषः गभीक्षीब कन। चांबभाक् । भूडिम পণ্ডিতেরা যে তড়িৎ-বিদ্যায় বিশেষ পারদশী ছিলেন এবং সেই বিদ্যা দ্বারা তাঁহার