পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (অষ্টম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

चत्र७ड्रहrभूण ११sa পৰ্য্যন্ত যে ভাগ, তাহার সমুদায় অংশে উত্তর প্রান্তের আকর্ষণ ও বিকর্ষণ গুণ অাছে, এবং মধ্যস্থান হইতে দক্ষিণ প্রান্ত পর্য্যন্ত যে ভাগ, তাহার সমুদায় অংশে দক্ষিণ প্রান্তের ন্যায় আকর্ষণ ও বিকর্ষণ গুণ আছে। সুতরাং চুম্বকের কেবল প্রাস্ত সংস্পর্শেই যে কৃত্রিম फूशक 2ञ्चङ श्झ ७भङ बदृश्, #िङ् भथान्होंन ভিন্ন অপরাপর স্থানের সংস্পর্শেও হইতে পারে । (১৭) চুম্বকের অঙ্গ বিশেষে শক্তির স্থানাধিক্য,—চুম্বকের দুই প্রান্তেই আকর্ষণ ও বিকর্ষণ গুণ প্রবল ! প্রান্ত পরিত্যাগ করিয়া যতই মধ্যস্থান অভিমুখে যাওয়া যায়, ততই উক্ত গুণ দ্বয়ের লাঘব লক্ষিত কর । (১৮) পৃথিবীর চুম্বকত্ব,—পৃথিবীতে যথেষ্ট চুম্বক ধৰ্ম্ম আছে। লেচ ও কয়ল তড়িৎ বিষয়ক জ্ঞান প্রভৃতি অনেক প্রকার পদার্থ ইহার সৎ- । κτά চুম্বকত্ব প্রাপ্ত হইয়া থাকে । ইহার যে উত্তর ও দক্ষিণ প্রাপ্ত আছে, তাহাদিগের আকর্ষণ ও বিকর্ষণ বলেই যাবতীয় চুম্বক দ গু মালের উপর সমান ভাবে স্থাপিত চষ্টলে উত্তর ও দক্ষিণ দিক নির্দেশ করিতে । থাকে। কম্পাশের মধ্যে যে চুম্বক শলাকা আছে, তাঙ্গর উত্তর প্রান্ত পুথিবীর দক্ষিণ "{ উত্তর প্রান্ত দ্বারা আকৃষ্ট হয় বলিয়াই তাহা দিক প্রদর্শক হইয়াছে। যে নিয়ম গুলি সংক্ষেপে উল্লেখ করিলাম, যদিও যন্ত্র যোগে পরীক্ষা করিয়া তাহাদিগের বাস্তবিকতা সপ্রমাণ করিতে পারিলাম না, তথাচ তাছাতে কাহারও কিছুমাত্র সংশয় উপস্থিত হইতে পারে না ; কারণ তৎসমুদায় আমাদিগের স্বকপোল কপিত নচে, ইউরোপীয়দিগের প্রত্যক্ষ পরীক্ষার ফল বলিয়াই প্রচারিত আছে । এইক্ষণে, উল্লিখিত নিয়ম গুলির সাহায্য দ্বারা এবং দক্ষিণ প্রান্ত পৃথিবীর । | S'වළු লইয়। পূর্বোক্ত শাস্ত্রীয় বিধান সকলের ব্যাখ্যানে প্রবৃত্ত হইতেছি । শাস্ত্রের বিধান এই যে, দেব-মন্দিরের উপরিভাগে ত্রিশূল ও দেবী-মন্দিরের উপ-. রিভাগে চক্র স্থাপন করিতে হইবে । এই উভয়কেই আবার তাম্র, লৌহ বা পিত্তল দ্বারা সুক্ষাগ্র করিয়া গঠন করিতে হইবে ।. এই ৰূপ করিয়! ত্রিশূল ও চক্র স্থাপন করিবার প্রকৃত উদেশ্য কি, তাহা কোন গ্রন্থেই লিখিত দৃষ্ট হয় না বটে, কিন্তু পণ্ডিতেরা ইষ্ট। মাত্র স্থির করিয়া নিশ্চিন্ত হয়েন যে, দুরন্থ পথিকদিগকে দেব বা দেবী মন্দিরের প্রভেদ জ্ঞাপন করিবার নিমিত্তই একের উপর ত্রিশূল অপরের উপর চক্র স্থাপিত হইয়া থাকে ঠাঙ্গাদিগের এই সিদ্ধান্ত অসঙ্গত নক্সে বটে, কিন্তু ইহাই পর্যাপ্ত বলিয়া বোধ হয় না। কারণ ইহাই যদি তাহার একমাত্র উদ্দেশা হষ্টত, তাকা হইলে বিজ্ঞ শাস্ত্র কারগণ প্রস্তর বা ইষ্টক নিৰ্ম্মিত fচকু স্থাপনের বিধান না দিয়া কখনই ক্ষয়শীল ধাতু নিৰ্ম্মিত অদূর লক্ষ্য চিত্ন স্থাপনের আদেশ করিতেন না এবং তাহী হইলে সেই চিহ্লের অগ্রভাগ সুক্ষ করিবার বিধানই বা কেন করিবেন ? যিনি আমাদিগের শাস্ত্রাদি পর্যালোচনা করিয়া অনেক স্থলে তৎপ্রণেতাদিগের মনোগত গঢ় ভাব অবগত হইতে পারিয়াছেন, তিনি অবশ্যই একেবারে স্বীকার করিবেন যে, টাঙ্গাদিগের এই বিধানটির কোন বিশেষ অভিপ্রায় আছে । আমরা যত দূর চিন্তা করিয়া দেখিয়াছি, তাহাতে বোধ হয় যে, ইউরোপীয়ের প্রসাদ পাশ্বে লৌহ দণ্ড স্থাপন করিয়া যে বজ্রপাত নিবারণ করেন, অামাদিগের শাস্ত্রকারগণও তাহাই করিবার জন্য তাম্র লৌহাদি ধাতু নিৰ্ম্মিত ত্রিশূল ও চক্র প্রোথিত করিবার আদেশ করিয়া গিয়াছেন।