পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (অষ্টম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

पञ&शांग्रण »१>ठे লৌহ নিৰ্ম্মিত ত্ৰিশূল প্রোথিত রহিয়াছে । এইক্ষণে ঐ মেঘস্থ মুক্ত তড়িতের বিয়োজনী শক্তি প্রভাবে মন্দিরস্থ সাম্যাবস্থ তড়িৎদ্বয় (৯ম নিয়মানুসারে) পরম্পর বিযুক্ত হইয়া স্ত্র্যাকার তড়িৎটি ঘ অভিমুখে এবং পুরুযাকারটি ছ অভিমুগে ধাবিত হইতেছে । শুদ্ধ যে এই রূপে বিয়োজিত হইয়াই ক্ষান্ত হইতেছে এমত নচে, উভয়ের মধ্যবৰ্ত্তাঁ যে শুষ্ক বায়ু তাঙ্গ অপরিচালক বলিয়া (১০ম নিয়মানুসারে) উভয়ই বৃদ্ধি পাইতেছে। উভযই বুদ্ধি পাইবার সময়, পরম্পর আকর্ষণ বশতঃ মিলিত হইতে উদ্যচ চওয়ায় মেঘস্থ তড়িৎ আসিয়া মন্দিরন্থ তড়িভের সঙ্কিত যুক্ত হুইবার পরিবর্তে মন্দিরস্থ তড়িৎই ত্রিশূ | তড়িৎ বিষয়ক জ্ঞান লাগ্র ইন্তে যাইয়া তাঙ্গার সহিত একত্রিত ' হইতেছে । মেঘের খ ভাগ অপেক্ষ মন্দি- ' রের ত্রিগুলাগ্র ভাগ আয়তনে স্থমন্তর ও উৎকৃষ্টতর পরিচালক বলিয়াই (১২শ নিয়মনুসারে এই ৰূপ ঘটনার সংঘটন ইতেছে। মন্দির পৃথিবীর সহিত সংলগ্ন রহিয়াছে, এই চেতু যখন যে পরিমাণ স্ত্র্যাকার গুড়িৎ উর্দুগামী ইয়া মেঘস্থ পুরুষাকারের সহিত মিলিত হইতেছে, তখনই (৮ম নিয়মনুসারে) পৃথিবী হইতে সেই পরিমাণ ঐ জাতীয় তড়িৎ যাইয়া মন্দিরের অভাব পূরণ করিতেছে । এই ৰূপে, পৃথিবী নিরন্তর সাহায্য করিতে থাকে বলিয়া, মেঘস্থ তড়িৎসমষ্টি যতক্ষণ সম্যক ৰূপে সাম্যাবস্থ না হয়, ততক্ষণ স্ত্র্যাকার তড়িৎ আপে অপে ত্রিগুলাগ্র হইতে উত্থিত হইতে থাকে । এই স্থলে যদি কেহ জিজ্ঞাসা করেন যে, যদি ত্রিশূলাগ্র হইতে নিয়তই তড়িতোদগম হইতে থাকে, তবে মেঘ হইতে মেঘাস্তরে তড়িৎ গমনের সময়ে আমরা যে ৰূপ আলোক দর্শন ও শব্দ শ্রবণ করিয়া থাকি, সে ৰূপ কিছুই দেখিতে বা শুনিতে পাওয়া যায় না । ჯატ() কেন ? ইহার প্রত্যুত্তরে বোধ হয় এই মাত্র বলিলেই পর্যাপ্ত হইবে যে, মেঘের প্রাস্ত সমুদায় স্থল ও অপকৃষ্ট পরিচালক বলিয়া, তাহাতে তড়িৎ বৃদ্ধি পাইয়া যখন অধিক পরিমাণ হয়, তখনই তাহা অগ্রসর কইয়া মেঘান্তরে গমন করিতে পারে ; এই ৰূপে একদা অধিক পরিমাণ তড়িৎ বায়ু ভেদ করিয়া গমন করায় ( ১১শ নিয়মানুসারে ) আলোক ও শব্দ যুগপৎ উৎপন্ন চইয়া আমাদিগের ইন্দ্রিয় গোচর হয় । কিন্তু ত্রিশূলাগ্র সুক্ষ ও উৎকৃষ্ট পরিচালক, সুতরাং তাঙ্গতে সামান্য পরিমাণ তড়িৎ সংস্থা হইতে না হইতেই, তাঙ্গ উদ্ধৃগামী হইয়। উপরিস্থ মেঘে গমন করে, এই জন্য কোন প্রকার আলোক দর্শন বা শব্দ শ্রবণ করিতে পাওয়া যায় না । ইউরোপীয়ের অাপন প্রাসাদ-পাশ্বে যে প্রকাগু লৌহদণ্ড ভূমিতে প্রোথিত করিয়া রাখেন, ত্রিশূল বা চক্র অপেক্ষা তাঙ্গার বিদ্যুৎপাত নিবারণী শক্তি প্রবলতর নহে । ত্রিশূলাদির কার্য্যকারিত অপেক্ষা ইউরোপীয় শলাকার ফলোপধায়িত যে শ্রেষ্ঠ নছে, ইহা শুনিলে বোধ হয় অনেকেই বিস্মিত হইবেন, কিন্তু সে ৰূপ হইবার কোন কারণ নাই, কেন না, ইউরোপীয় লোঁচ শলাকাও যেৰূপ,ত্রিশূল সংযুক্ত মন্দিরও ঠিক সেইৰূপ একটি ভূমি সংলগ্ন পরিচালক দগু° ৬ মন্দির অপেক্ষ লৌহদণ্ড শ্রেষ্ঠতর পরিচালক दटके, किड़ कांटरीज़ मगञ्च छेउग्नड़े ठूला-मलeन কারণ, তড়িৎ সকল বস্তুরই উপরিভাগ দিয়া গমন করিবার সুবিধা পাইলে তার অভ্যন্তর দিয়া গমন করে না । লৌহদণ্ড প্রোথিত হুইবার পর অলপ দিলের মম্বোই তাহার গাত্র শিশির, স্কৃষ্টি ও রৌদ্র দ্বারা মলাযুক্ত হইয়া পড়ে ; সুতরাং তাছার পরিচালকতা শক্তিও অনেক অংশে হ্রাস হইয়া যায়। মন্দিরের গাত্র নিয়তই আদ্র থাকে বলিয় তাহ। পরিচালক হয়। ঐ সাজতো মন্দিরের অস্তিত্ব