পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (অষ্টম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫ s তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা ৮ ফঙ্গ, খ ভাগ দ্বারা সিক্ত হইলে তাহার সহিত শরীরের অধিকাংশ মুক্ত তড়িৎ বহির্গত হইয়া যায়। এই স্থলে কেহ বলিতে পারেন যে,স্নান দ্বারা তড়িৎ বাহির করা না বলিয়া তাপ বাহির । করা বলিলেই তো সঙ্গত হয় । ইহার উত্তরে *াচকে এই মাত্র স্মরণ করিয়া দেওয়া আবশ্যক যে, যদি তাহাই হইত, তবে পোষ মাসের প্রত্যুষে যখন শয্যা পরিত্যাগ করিয়া বfচন্দ্ব রে গমন করিলেই সমুদায় শরীর শীতল চষ্ট্রয় পড়ে, তখন ও প্রাতঃ সন্ধ্যার পূৰ্বে স্নান করিবার আদেশ প্রদত্ত হইয়াছে কেন ? অন্তঃপর উপাসনা সময়ের আসন বসনদি লক্টয়া কিঞ্চিৎ আলোচনা করা যাইতেছে । স্নান করিবার সময় শরীর যে একবাবে মুক্ত তড়িৎ বিরচিত হয় এমত নছে ; জলে অবগাচন করিলে জল ও শরীর উভয়ই তুল্য পরিমাণ তড়িৎ সম্পন্ন হয়। অতএব অবগানে শারীরিক তড়িতের হ্রাস ছয় বটে কিন্তু একবারে লোপ চয় না । স্নানের পর পরিপাক যন্ত্র, পৃথিবী ও বায় হইতে কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ তড়িৎ আসিয়া শরীরের সর্বত্র ব্যাপ শ্লষ্টতে থাকে । এই সময়ে উপাসক স্থগিত করা যায় না বলিয়া তাহা হইতে প্রতিক্ষণে কিঞ্চিৎ কিঞ্চিৎ তড়িৎ উদ্ভূত হইয়া সমস্ত স্নায়ুমগুলে ব্যাপ্ত হইতে থাকে। এই অল্প পরিমাণ ক্রমোদগত তড়িতের দ্বারা একটি প্রধান উদেশ্য সাধিত হয় । স্নানাদি দ্বারা তড়িৎ নিষ্কামণ পূর্বক স্নায়বীয় বলের যেরূপ মধ্যমাবস্থা সাধন ' न} । शुक्ल डब्लिथ्खाल्ला उँखु क्रङित्व धूब्बम ब्ज्ञ ধিক ব্যতিক্রম কয় না । করিয়া উপাসনায় প্রবৃত্ত হওয়া যায়, কিছুকাল পরে তাহার বিলক্ষণ বিপর্যায় ঘটে ; কারণ মানসিক চিন্তা দ্বারা স্নায়ুমূল গুলির ক্রমশঃ বল-কানি হইতে থাকে, সুতরাং চিন্তায়ও আর পটুতা থাকে কিন্তু উল্লিখিত শারীরিক যন্ত্রোৎপন্ন অতএব স্নায়বীয় বলের মধ্যমাবস্থার অঅপিচ, উক্ত শারীরিক যন্ত্রোৎপন্ন তড়িৎ প্রায় অধিকাংশ ব্যক্তির পক্ষে অপেক্ষণের মধ্যেই উক্ত ক্ষতি পূরণোপযোগী পরিমাণাপেক্ষ রেশম বস্ত্র পরিধান ও রেশম বস্ত্রের উত্তরীয় : দ্বারা গাত্ৰাচ্ছাদন করতঃ কম্বলাদির আসনে উপবেশন করেন । রেশম বস্ত্র ও কম্বলtfদর আসন তড়িতের অধম পরিচালক বলিয়া "াঙ্কার। পৃথিবী ७ नtब्रु। হইতে তড়িতাগমের ব্যাঘাত জন্মাইয়; দেয় ; এতন্নিবন্ধন শরীরও অধিক কাল সাম্যাবস্থায় থাকিতে পারে এবং মনেরও সুতরাং ঈশ্ববের ধ্যান ধারণা ৰূপ সুক্ষ কাৰ্য্যে বিলক্ষণ পটুতা জন্মে। আসন ও পরিচিত বস্ত্রের গুণে পৃথিবী ও লায়ু কষ্টচে তড়িভাগম হইতে পারে মা বটে, কিন্তু পাকস্থলী প্রভৃতি শারীরিক গ্রন্থাদির ক্রিয়া কোন মতেই ইচ্ছা ক্রমে অধিক হইয়া পড়ে ; কারণ চিন্তু অস্তির ইচ্ছার অধীন, কিন্তু শারীরিক যন্ত্রাfদর কার্য তাহা নক্ষে: সুতরাং মধ্যে মধ্যে চিন্তার বিরাম বশতঃ স্নায়বীয় ক্ষীণতার অপত হইতে পারে, কিন্তু যন্ত্রদির কার্ষ্যের বিরাম হয় না বলিয়া তড়িতোৎপত্তির ব্যাঘাত হয় না। এই নিমিত্ত অধিকাংশ অপ নিপুণ ব্যক্তিতে চিন্তা-জনিত দুৰ্বলতা অপেক্ষ যন্ত্রোৎপন্ন তড়িতের ভাগ অধিক হইয়া উঠে । উৎপন্ন তড়িতের এই অতিরিক্তাংশ নিষ্কামণ দ্বারা স্নায়ুমণ্ডল ও মনকে কার্যক্ষম রাখিবার জন্য শাস্ত্রকারগণ সুকৌশলে একটি বিধান করিয়া গিয়াছেন । তাহারা বিধান করিয়াছেন যে, উপাসকের সম্মুখে তাম্র প্রভৃতি ধাতু নিৰ্ম্মিত একটি পাত্রে জল স্থাপন করিতে হয় এবং মধ্যে মধ্যে মন্ত্রোচচারণ পূর্বক হস্ত বা কোশী দ্বারা উক্ত জলের