পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (অষ্টম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৬৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

धाँझ » १>8 নহে । আমরা যাহ। ভোজন করি, তাহা পাকাশয়ে যাইব৷ মাত্র পাচক রসাদির সহিত মিলিত হইয়া নানা প্রকার রাসায়নিক যোগ বিয়োগ সাধন করিতে থাকে। ঐ রাসায়নিক প্রক্রিয়া হইতে যে ছুই প্রকার তড়িৎ উৎপন্ন চয়, তাঙ্গরা ( পূৰ্ব ব্যাখ্যাত তড়িৎ যন্ত্রের নিয়মানুসারে ) কোন সংযোজকের মধ্য দিয়া গমনাগমন করিতে না পারিলে পাকাশয়স্থ রাসায়নিক প্রক্রিয়া বা তাহ শ্লষ্টতে তড়িতোৎপত্তির ব্যাঘাত জঙ্গিাবে, তাঙ্গতে সন্দেহ নাই । এই ব্যাঘাত নিবাবণ মানসেই বোধ হয় শাস্ত্রকারগণ ভোজনের সময় পদ দ্বারা ভূমি স্পর্শ করিবার মাদেশ করিয়া গিয়াছেন। ভূপৃষ্ঠ ও ভোজন পাত্র (তরুণ বৃক্ষ পত্রই হউক, আর ধাতু নিৰ্ম্মিতই উক ) তড়িতের বিলক্ষণ পরিচালক । আবার ঐ দুইটি পরম্পর সংলগ্ন থাকে বলিয়া তাঙ্গর উভয়ে অবিচ্ছিন্ন একটি পরিচালকের কার্য্য সাধন করে । যদি ভূমিতে পাদ ও ভোজন পাত্রে হস্ত পৃষ্ট থাকে, তাহ হইলে পাকাশয়োৎপন্ন তড়িদৃদ্বয় স্বচ্ছন্দে পরম্পরের দিগভিমুখে গমনাগমন করিতে পারে; সুতরাং পরিপাক কাৰ্য্যও সুচারু ৰূপে নিৰ্বাহিত হইতে থাকে। অপরস্তু, পাকাশয়োৎপন্ন তড়িদৃদ্বয়ের পরিচালকতার পোষকতা করিবার নিমিত্তই তাহারা আবার ভোজন সময়ে সিক্ত পদে উপবেশন করিবার আদেশ করিয়াছেন । শরীরের অন্যান্য অঙ্গ অপেক্ষা পাদমূল কিয়ৎ পরিমাণ ক্ষীণ পরিচালক ; কারণ হৃৎপিগু হইতে অধিক দুরন্থ বলিয়া পাদমুলে রক্ত রসাদি সুন্দর ৰপে সঞ্চালিত হইতে পারে না, সুতরাং অন্যান্য অঙ্গের ন্যায় তাহা তত পরিচালকও হইতে পারে না। পাদমূল জল সিক্ত হইলে তাহার পরিচালকতা হন্তের शृद्रिकांलकठांङ्ग नभांब इशेझ खेरठं। अङ७द তড়িৎ-বিষয়ক জ্ঞান V': শাস্ত্রকারদিগের বিধানানুসারে কার্য্য করিলে পাকাশয়োৎপন্ন তড়িদৃদ্বয় হস্ত ও পাদ aiश्व ध्हे:ङ भङरङ शिक्ष्मृङ झ्हेल्ला डूबि ७ ভোজন পাত্রের মধ্য দিয়া গমনাগমন কfরতে পারে। তাহাদিগের এই বিধানটিও যে সম্পর্ণ ৰূপে স্বাস্থ্য রক্ষার্থ তাক বোধ হয় এইক্ষণে সকলেরই সুন্দর রূপে উপলব্ধি হইতেছে । আমরা যে পাঁচটি শাস্ত্রীয় বিধানের ব্যাখ্যান শেষ করিলাম, তাছা যদি অসঙ্গত বলিয়া প্রতীয়মান না হয়, তাঙ্গ চুইলে এইক্ষণে সকলকেই স্বীকার করিতে কক্টৰে ধে. আর্য্য ঋষিরা যেমন পৃথিবীর অন্যান্য সভ্য জাতির অগ্রে ব্রহ্মবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্য: প্রভৃতি নানা বিদ্যায় বিশারদ হইয়াছিলেন, তড়িৎ বিদ্যায়ও যে সেই ৰূপ হইতে পারেন নাই, এৰূপ কখনই বোধ হয় না । যদি আমরা পূৰ্বোক্ত ব্যাখ্যানগুলির মধ্যে মধ্যে র্তাহাদিগের প্রণীত তড়িৎ বিষয়ক কোন গ্রন্থ হইতে মনোমত প্রবচন সকল উদ্ধত করিয়া দিতে পারিষ্ঠান, তাল হ’লে আমাদিগের বাক্যে পাঠকগণের যে তা”র । বিশ্বাস হইত, তাeাতে তার সন্দেহ নাই । কিন্তু বহু কাল পর্য্যন্ত চর্চার অভাব প্রযুক্ত ঐ বিষয়ক হস্ত-লিখিত পুস্তক সকল যে কোথায় কাহার কুক্ষিগত হইয়াছে, তাগর সন্ধান পাওয়া যায় ন! ! অনেক দিন চইল এসিয়াটিক সোসাইটির অনুসন্ধানে “শিল্প সংহিতা" নামধেয় এক খানি পুরাতন সংস্কত পুস্তক বাহির হইয়া পড়িয়াছে ; তাছাতে পুষ্পক রথ বা ধূমযন্ত্র, তোয়যন্ত্র বা তাপমান যন্ত্র, দূরবীক্ষণ যন্ত্র, এবং দিক দর্শন যন্ত্র ইত্যাদি নানা বিষয়ের সন্ধান পাওয়া গিয়াছে । আবার এই ক্ষণে যদি সৌভাগ্য ক্রমে তড়িদ্বিদ্যা সম্বন্ধীয় কোন পুস্তক পাওয়া যায়, তাহা হইলে তড়িৎ সম্বন্ধে