পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (অষ্টম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/১৯৫

tъз учав =ള്ള ബ ജ് ജ ബ ഇബ গতিতে নিক্ষেপ করিও না, তোমার নিকট এইমাত্র প্রার্থনা । ও একমেবাদ্বিতীয়স্থ । ψωπω£αμα! মনের একাগ্রতা সাধন । ৩৪৬ সংখ্যক পত্রিকায় ৫৫ পৃষ্ঠার পর । মনের স্থৈৰ্য্য সাধনার্থে যে সকল শারীfরক ও মানসিক নিবম অবলম্বন করা বিধেয়, তন্মধ্যে ৩৪৬ সংখ্যক পত্রিকায় আমরা শারীরিক নিয়মান্তর্গত শুদ্ধ আহার ও উপবাসের বিষয় বর্ণনা করিয়াছি; এক্ষণে তাহার অবশিষ্ট নিয়ম গুলির মধ্যে কতিপয় নির্দিষ্ট হইতেছে । ৩ পরিচ্ছদ —আমরা উক্ত সংখ্যক পত্রিকায় সপ্রমাণ করিয়াছি যে, যাহা দ্বারা শরীর সময়ে উত্তেজিত ও সময়ে অবসাদিত কয়, তাঙ্কা কোন মতেই মনের স্থৈৰ্য্য সাধনের অনুকুল নহে। সেই নিয়মটির সাহায্য গ্রহণ পূর্বক বিবেচনা করিয়া দেখিলেই আমরা পরিচ্ছদ সম্বন্ধে সমুদায় কৰ্ত্তব্য নিৰূপণ করিতে পারি । ভারতবর্ষ উষ্ণ-প্রধান দেশ,—অন্যান্য অনেক দেশাপেক্ষা এখানে শীতের প্রাদুর্ভাব অতি অল্প। এখানে পুৰ্বকাল হইতে যেৰূপ পরিচ্ছদ ধনী দরিদ্র প্রভৃতি সকলের মধ্যে প্রচলিত হইয়া শুমাসিতেছে, তাহ ষে সম্পূর্ণ ৰূপে এদেশের উপযোগী তাহা বলা বাহুল্য। এখানকার চিরপ্রসিদ্ধ সংস্কার অনুসারে, ইউরোপীয়দিগের ন্যায় শরীরের সমুদায় অঙ্গ সর্বদা বস্ত্রাচ্ছাদিত না রাখিলে সভ্যতা বা লজ্জাश्रीलङान्न बाधाड श्ब्रु बा ! अरे झ्डू, এখানকার লোকেরা ঋতু বিশেষে শীত ও উষ্ণতার পরিমাণানুসারে অঙ্গ বিশেষ আবৃত বা অনাবৃত রাখিয়া থাকেন। পরিচ্ছদ সম্বন্ধে এই ৰূপ স্বাধীন ব্যবহার শারীরিক স্বাস্থ্যের মনের একাগ্রতা সাধন না করিয়া ক্ষান্ত থাকেন না । S'సె(t অতীব অনুকুল, সুতরাং উহা মনের একাগ্রন্স সাধন বিষয়েও সম্পূর্ণ ভিকারী। কিন্তু অধুনা ইউরোপীয় সত্যতার আলোকে অত্রত্য শিক্ষিত ব্যক্তিগণ ঐ ৰূপ স্বাধীন ব্যবহারকে অসত্যতার লক্ষণ বিবেচনা করিয়া ভয়ানক গ্রীষ্মকালেও সমস্ত শরীর বক্সাৰ্বত কি কার্যr|লয়, কি বিদ্যালয়, কি ভজনালয়, কি বাস গৃহ, অধুনা যেখানেই যাও প্রত্যেক ব্যক্তিকে আপাদকণ্ঠ বস্ত্রাবৃত দেখিতে পাইবে । র্তাহারা গ্রীষ্ম প্রভাবে ঘৰ্ম্মাক্ত কলেবর হইয় ছটফট করিডে থাকিলেও, কোন মতে অন্যের সাক্ষাভে অনাবৃত শরীর হইতে চাহেন না ! পরিচ্ছদ সম্বন্ধে এদেশের স্বাভাবিক রীতির এই অস্বাভাবিক পরিবর্তন যে শুদ্ধ শারীরিক স্বাস্থ্যেরই অনিষ্টকারী এমত নহে, মনের একাগ্রত সাধন সম্বন্ধেও উহা সম্পূর্ণ বিরুদ্ধাচারী । ফলতঃ, পরীক্ষা দ্বারা ইহাই সপ্রমাণিত হইয়াছে যে, যে ৰূপে ও যে পরিমাণে বস্ত্র পরিধান করিলে শরীর নাতিশীতোষ্ণ ভাবে থাকে, তাহাই প্রস্তাবিত সাধনের সম্পর্ণ অনুকুল আর্য্য ঋষিরা মনের একাগ্রতা সাধন বিষয়ে যতদূর কৃতকাৰ্য্য হইয়াছিলেন, বোধ হয় পৃথিবীর মধ্যে আর কোন জাতিই সে ৰূপ হইতে পারেন নাই ; সুতরাং প্রস্তাবিত সাধনাকাঙ্ক্ষীদিগের পরিচ্ছদ সম্বন্ধে ঠাচার যেৰূপ ব্যবস্থা প্রদান করিয়া গিয়াছেন, তাহা যে পরীক্ষা-সিদ্ধ ও এদেশের সম্পূর্ণ উপযোগী তাহাতে আর কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। র্তাহারা বিধান করিয়া গিয়াছেন যে, উপাসনার সময়ে (যে সময়ে মনের একাগ্রত নিতান্ত প্রয়োজনীয়) উপাসক স্নান বা হস্ত পদাদি ধৌত করিয়া এক বস্ত্র পরিধান এবং আর এক বস্ত্র উত্তরীয় ৰূপে গ্রহণ পূর্বক আসনে উপবিষ্ট হইবেন। এতদ্ভিন্ন,