পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (অষ্টম কল্প দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৯৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

জাrিন ১ ৭৯s ব্রাহ্মসমাজ সকল এ বিষয়ে আমাদের অাবেদন স্থান হইয়া আছে। ধর্মের সংযোগ ভিন্ন কেন সারবতী উন্নতির প্রত্যাশা করা যায় না, ব্রাহ্মগণ ইহা অবশ্যই বুঝিতে পারিবেন। কিন্তু আক্ষেপের বিষয় এই যে, স্বদেশানুরাগ অন্যান্য সাধারণ লোকের ন্যায় ব্রাহ্মগণের মধ্যেও নিতান্ত নিম্পত হইয়া আছে । সাধারণতঃ মনুষ্যের প্রতি প্রীতি অপেক্ষা পিতা মাতার প্রতি যেমন বিশেষ পদার্থ, সেই ৰূপ সাধারণতঃ লোক হিতৈষণা ও স্বদেশানুরাগ পরম্পর বিভিন্ন । যিনি স্বদেশানুরাগ ও বিদেশের প্রতি বিদ্বেষ এক পদার্থ বলিয়া গণনা করেন অথবা যিনি সাধারণ লোকহিতৈষণার ব্যপদেশে স্বদেশামুরাগ লুপ্ত করিয়া ফেলেন, তাহারা উভয়েই ভ্রান্ত । পিতা মাতার প্রতি বিশেষ প্রীতি যেমন সাধারণ প্রীতির অপহারক নঙ্গে, সেই ৰূপ স্বদেশ ও স্বজাতির প্রতি বিশেষ প্রেমও সাধারণ প্রীতিকে অপহরণ করে না । কিন্তু যে ব্যক্তির মনে স্বদেশের ভারতবর্ষ ও ব্রাহ্মসমাজ প্রতি বিশেষ প্রেম নাই, সে ব্যক্তি পিতা : মাস্তার প্রতি ভক্তিশূন্য অসৎ পুত্রের ন্যায় পরিগণিত হয় । উপরে উল্লিখিত হইয়াছে যে, স্বদেশানুরাগ সাধারণ লোকের ন্যায় ব্রাহ্মগণের মধ্যেও নিতান্ত নিম্পত হইয়া আছে । অবচ্ছেদাবচ্ছেদে সমুদায় ব্রাহ্মই সে রূপ না হইতে পারেন কিন্তু অনেককেই স্বদেশের প্রতি স্তাদুশ অনুরক্ত বলিয়া বোধ হয় না । খৃষ্টধৰ্ম্ম প্রচারের প্রথমাবস্থায় দেশীয় খৃষ্টধৰ্ম্মীগণের ন্যায় তাহাদিগের আচার ব্যবহারে স্বদেশনির্মমতার লক্ষণ নিরীক্ষিত হইয়া থাকে। এ ক্ষণে ষ্ট্ৰীহাদিগকে স্বদেশের আচার ব্যবহার ভাল লাগিতেছে না ও কোন অনিৰ্দেশ্য अक्कफ1 दएक्श्व-प्रभज्राद्ध ८गोनार्य अमूङद করিতে দিতেছে না, ভরসা করি, উপযুক্ত ף אל সময়ই ডাঙ্গাদিগকে শিক্ষা দিবে ও পুনরায় প্রত্যাগমন করিতে বাধা করিবে অথবা অবিবেচ্যকারিভার ফলস্বরূপ অনুশোচনা ভোগ করাইতে থাকিবে । ধীরপ্রকৃতি ধাৰ্ম্মিকগণের নিকটে যাঙ্গ চেয় বলিয়া বোধ হয়, যৌবনসুলভ হঠকারিতার চক্ষুতে তাহাই স্বৰ্গবৎ আদরণীয় হয় ও সেই স্পৃহনীয় ধীরচরণ নানা উপহাসের সচিত অবমানিত হইতে থাকে ; কিন্তু ইছ অতি যথার্থ কথা যে, " যুবকেরা কহে বৃদ্ধের ক্ষিপ্ত, কিন্তু বৃদ্ধের জানেন যুবকের ক্ষিপ্ত।” এই জন্য আমরা এতদেশীয় সমস্ত ব্রাহ্মসমাজকে এই অনুরোধ করিতেছি যে, স্বদেশ ও স্বদেশীয়দিগের সহিত স্বাভাবিক বন্ধন যাহাতে সম্যক রক্ষা পায়, যে সকল ভাব ও আচার ব্যবহারে সেই বন্ধন ছিন্ন হুইবার উপক্রম হইবে তাহ যাহাতে দুর চটতে পার ত্যক্ত হয় এবং স্বদেশের প্রতি সকলের মমত। যাঙ্গতে বুদ্ধি পায়, তfদ্বষয়ে বিশেষ ৰূপে উৎসাঙ্গাম্বিত হন । যিনি অনুধাবন পুৰ্বক এদেশেৰ বৰ্ত্তমান দুরবস্থার পর্য্যালোচনা ও তাছার কারণ সকল অনুসন্ধান করিবেন, হৃদয় পাষাণবৎ হইলেও ভাস্কাকে অশ্রুপাত করিতে হইবে। কানপুর হত্যাকাণ্ডের চিত্ৰপট দর্শন করিয়া সকলেষ্ট শোকাকুল চন, কিন্তু যদি কেহ ভারতবর্ষের অধুনাতন অবস্থা চিত্রিত করিয়া জনসমাজে প্রদর্শন করিতে পারেন; তদপেক্ষা সহস্র গুণ শোকানল তৎক্ষণাৎ প্রজ্বলিত হইয়া উঠিবে, তাহাতে কিছুমাত্র সন্দেহ নাই। বাহিরে এদেশের যাহা কিছু উন্নতি বলিয়া বোধ হয়, একটি বিদেশীয় জাতির সমাগম তাহার এক মাত্র श्रदलइब्र । श्रांखि यनि हे९ब्लांङ ङांङि चांभদিগকে পরিত্যাগ করিয়া যায়, কালি হই তেই তৎসমুদায় অন্তহিত হইতে থাকিবে ।