পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (অষ্টম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*** ** ঈশ্বরের সহিত আমাদিগের সাক্ষাৎ সম্বন্ধ Sశ్చి$ পুরণ করিতেছেন। যে প্রণালী অবলম্বন পারেন যে, পরমাত্মা এই বিশ্ব সৃজন করি পূর্বক তিনি সেই কাৰ্য্য সম্পাদন করিতেছেন, তা অনেক সময়ে একই প্রকার দৃষ্ট হর বলিয়া অনেকেই জগতের কার্যে র্তাহার সাক্ষাৎ যোগ নাই বলিয়া মনে করেন। তঁাহারা বলেন যে যেমন ঘটিকা-যন্ত্রের নির্মাত৷ তাহাতে শক্তি প্রয়োগ পূর্বক চালাইয়া দিলেই তাঙ্গ দ্বারা যখ নিয়মে ঘণ্টা,মিনিট, সপ্তাহ, মাস প্রভৃতি প্রকাশিত হইতে থাকে, সেই ৰূপ জ্ঞান ও শক্তি স্বৰূপ ঈশ্বর এই জগৎ যন্ত্র প্রস্তুত করিয়া ইঙ্গাতে ক্টোচার • যে শক্তি প্রয়োগ করিয়াছেন, তাঙ্গাই ইহাকে । চিরদিন এক ৰূপ নিয়মে পরিচালিত করি- ; কি প্রমাদ ! যে শক্তিবিন্দু জ্ঞান- , তেছে । স্বৰূপ ঈশ্বরের সহিত অসংযুক্ত হইয়া কাৰ্য্য ! করিতেছে, তাছাই কি এইক্ষণ অামাদিগের জ্ঞান চক্ষুর নিকট মৌলিক স্রষ্টা ও নিয়ন্থা বলিয় প্রতিভাত হইতেছে ? না, কখনই এৰূপ বিশ্বাস চয় না । যাহার এই ৰূপ কতেন, তাহারও বোধ হয় কিঞ্চিৎ চিন্তা করিলে আমাদের ন্যায়ই বলিয়া উঠিবেন । ঘটিক যন্ত্রের নিৰ্ম্মাতা উগ নিৰ্ম্মাণ করিবার | সময় কি কি উপাদান প্রাপ্ত হইয়াছিল দেখা যাউক । সে কঠিনতা ও মসৃণতা গুণ সমম্বিত কিঞ্চিৎ পিত্তল ও লৌহ এবং স্থিতি স্থাপকতা গুণ বিশিষ্ট কিঞ্চিং ইম্পাৎ এবং সমকালভোগী একটি দোলক প্রাপ্ত হইয়াक्लित्न वलिशाहे ठाङोग्निटांत्र नझtशऊ नन्दघ অভিলষিত ৰূপে একটি কালমাম যন্ত্র প্রস্তুত করিতে পারিল এবং তাহাদিগের হস্তে আপনার বলাংশ গচ্ছিত রাখিয়া তদ্বারা মারা প্রকার কার্য্য সম্পাদন করিতে লাগিল । আপন ৰলtংশ এই ৰূপে গচ্ছিত রাখিবার উপযুক্তকোন পরকৃত পত্রিম পাইলে কি সে * पब *खड कब्रिटक गाब्रिड ? कषबहे ब ।। ইং দিস্থির হইল, জ্বৰে এইক্ষণেকে বলিতে

বার পর ইহাতে আপনার শক্তির কিয়দংশ প্রদান করিয়াই ইকার সহিত নিঃসম্পর্ক হইয়ছেল । ওদিকে বিশ্বযন্ত্র সেই শক্ত্যংশ গচ্ছিত রাখাতেই ভদ্বারা ইল্লা যথা নিয়মে চালিঙ্গ হইতেছে ? আধার ভিন্ন শক্তির অবস্থান সম্ভাবতে পারে না। তাঙ্গ যদি না পারিল তবে সৃষ্টিকালে কোন পদার্থ পূৰ্বস্থিত উপযুক্ত গুণশালী চইয়। তাহার শক্তি ধারণ পূর্বক এই বেিশ্ব ৰূপে পরিণত হইল - এই বিশ্ব সৃষ্টির পূর্বে যখন অন্য কোন পদার্থই ছিল না, তখন কোন পদার্থই সে ৰূপ চয় নাই । ঈশ্বর আপনার ইচ্ছা, জ্ঞান, প্ৰেম, হইতেই এই বিশ্ব উৎপাদন করিয়াছেন, সুতরাং তাঁহাই এই বিশ্বের উপাদান কারণ ও নিমিত্ত কারণ । যখন সেই ইচ্ছা জ্ঞান প্রভৃতি হইতে ঈশ্বর বিচ্ছিন্ন নহেন তখন বিশ্বের সঠিত ঘটিক যন্ত্রের তুলনা করিয়া, ইহা হইতে ইহার স্রষ্ট ও নিয়স্থাকে পৃথকৃ করিয়া জানাকে ঠিক জানা বলা যাইতে পারে ন} । ● অপরন্তু, কেহ কেহ বলেন যে ঈশ্বর প্রথমতঃ জগৎকে শক্তি ধারণের উপযুক্ত - ایستگاه م so. * ठ्ठि পাত্র করিয়া নিৰ্ম্মাণ করিলেন, পরে তাহাতে ঘটিকা নিৰ্ম্মাতার ন্যায় শক্তি প্রয়োগ পূর্বক তাহার সহিত নিলিপ্ত হইলেন । কিঞ্চিৎ চিস্থা করিলেই এই ৰূপ বাক্যের নিরর্থকতা হৃদয়ঙ্গম করা যাইতে পারে । ঘটিকা-যন্ত্র প্রস্থতিতে প্রয়োজিত শক্তি, চক্র দণ্ডাদিকে চালিত করিতে থাকে বটে কিন্তু (ফ্ৰেম ব্র্যাকেট প্রভৃতি ) কোন নিশ্চল অবলম্বের উপর ভর না দিলে তাহা কাহাকেও চালাইতে পারে ন। পর্যবেক্ষণ ও পরীক্ষা দ্বারা যিনি এই গৃঢ় সত্যটি উপলব্ধি করিয়াছেন, তিনি অবশ্যই এই জগৎকে ঘটিকা যন্ত্রের সহিত তুলনা করিতে লজ্জিত হই