পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (অষ্টম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्~ इशfग्नश् **** ’ করিতে গেলে অজ্ঞান হইতে হয়। ঈশ্বরের হস্ত সেই সমুদায় পরিষ্কার করিবার জন্য ব্যস্ত না থাকিলে অদ্য এই পৃথিবীর ষে কি দুর্দশা উপস্থিত হইত তাহা আমরা কল্পনা করিতেও পারি না। সমুদ্র, জল সংস্কারের প্রধান স্থান, সুতরাং জাহার ও তাহার मिकछेदउँौं मणैौ ७धङ्कडिज़ कल नदिeत्रक অধিকতর মল পূর্ণ হইবারই কথা । মনুষ্য যখন এৰূপ স্থানে আবাস স্থাপন করেন যে, । উক্ত জল ভিন্ন ঠাহার অন্য উপায়ই থাকে না, তখনই উtহার জল সংস্কারের প্রয়োজন উপস্থিত হয় । তদ্ভিন্ন অন্য কোন স্থানেই সে ৰূপ হয় না । বোধ হয় ঈশ্বরের এই বিধানের মৰ্ম্ম অবগত হইয়াই প্রাচীন কালের বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা বলিয়া গিয়াছেন এবং এখনও অনেকে বলিয়া থাকেন যে সমুদ্রের নিকটবৰ্ত্তী লবণ দেশে আবাস স্থাপন করা । প্রাজ্ঞদিগের উচিত নচে । অতএব মনুষ্য কিঞ্চিৎ বিবেচনার সহিত আবাস স্থাপন করিলেই জল সংস্কারের হস্ত হইতে নিষ্ক্যুতি পাইতে পারেন । পরমাত্মন্ত্ৰ । তুমি যে অামাদিগের মঙ্গলের নিমিত্ত কখন মাতার ন্যায় কখন, পিতার ন্যায় কাৰ্য্য করিতেছ আমরা এইক্ষণে তাহার বিলক্ষণ পরিচয় পাইতেছি । আমরা যে তোমার স্নেহময় ক্রোড়ে অবস্থিত রহিয়াছি তাহাও আমরা এইক্ষণে স্পষ্ট ৰূপে অনুভব করিতেছি। এইক্ষণে একমাত্র প্রার্থনা এই যে, যখনই তোমার যে দান উপভোগ করিয়া বৰ্দ্ধিত হই, তখনই যেন আমরা তোমার প্ৰেমমুগ্ধ দর্শন করিয়া কৃতাৰ্থ হইতে পারি। আমরা যাহাতে অরুঙ্গ হইয়া তোমার দান উপতো না করি, ভাষার নিমিত্ত তুমি উপায়

বিধান কর । । i পৌত্তলিকতা ব্রহ্মজ্ঞানের সোপান t | ! * ჯა % পৌত্তলিকতা ব্রহ্মজ্ঞানের সোপান । কি প্রণালীতে সচরাচর মনুষ্যের ধৰ্ম্মোমতি সংসাধন হইয়া থাকে তাহা পৰ্য্যালোচনা করিলে প্রতীত হইবে যে, সে একে বারেই নিৰ্ম্মল ব্রহ্মজ্ঞানে উপনীত হয় না । স্বভাবের সকল কাৰ্য্য ক্রমশঃ সম্পাদিত হয় ; ধৰ্ম্মোন্নতি সংসাধন ও ক্রমশঃ উন্নতির নিয়মের বহির্ভূত নচে । প্রথমে লোকে জড়োপাসনাতে প্রবৃত্ত হয় ; প্রস্তর ও উদ্ভিদাদি জড় পদার্থের কপিত প্রাণকে দেবতা মনে করিয়া তাহাকে উপাসনা করে । পরে জ্ঞানের উন্নতি হইলে দেবোপাসনাতে প্র বৃত্ত হয় । তাছারা প্রত্যেক নৈসর্গিক পদ র্থের একএকটি নরাকৃতি অধিষ্ঠাত্রী দেবত। কল্পনা করিয়া তাহার উপাসন করে । পরে জগতের সকল বস্তুর মধ্যে পরম্পর সম্বন্ধ উপলব্ধি করিতে পারিলে তাহাদিগের হৃদয়ে এক মাত্র অদ্বিতীয় ঈশ্বরের ভাব সঞ্চারিত হয় । তখনও তাহারা নিরাকার ঈশ্বরের জ্ঞান যে প্রাপ্ত হয় তাহাও নহে । আদিম ইহুদিরা এক মাত্র ঈশ্বরে বিশ্বাস করিয়াও উহাকে আকার বিশিষ্ট বলিয়া বিশ্বাস করিত । এক মাত্র অদ্বিতীয় ঈশ্বরে বিশ্বাস করিলেও ডাহার সম্বন্ধীয় মনুষ্যের সংস্কার প্রথমে অসংস্কৃত ও অপরিমার্জিত অবস্থাতে থাকে, পরে তাছা ক্রমশঃ মাজ্জিত হইয়া নিরাকার অনস্ত সৰ্ব্বব্যাপী ঈশ্বর জ্ঞানে তাহাকে উপনীত করায় । এই ৰূপে দেখা যাইতেছে যে মনুষ্য জড়োপাসনা হইতে দেবোপাসনায়, দেবোপাসনা হইতে এক মাত্র সাকার ঈশ্বরোপাসনায় এবং এক মাত্র সাকার ঈশ্বরোপাসনা হইতে নিরাকার সৰ্বব্যাপী - অনস্থ ঈশ্বরোপাসনায় ক্রমে আরোহণ করে, অতএব প্রতীত হইতেছে যে