পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (অষ্টম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

**! ६ ४ १ ५ ७ প্রাপ্তং ন চালয়েৎ " সমাধিকালে উক্ত লয় ৰূপ নিদ্র। উপস্থিত হইলে অন্তঃকরণকে উদ্বোধিত করবেক, অন্তঃকরণ বিক্ষিপ্ত হইলে তাহার সমতা করিবেক,নিস্তব্ধ হইলে তদ্বিষয়ে সতক হইবেক এবং বিষয় রসাস্বাদ অনুভূত হইলে তাহা পরিত্যাগ করিবেক, আন্তঃকরণ একাগ্র হইলে তাহাকে তার কোন দিকে চালনা করিবেক না । এই সকল বিস্ত্র হইতে বিরহিত, উক্ত সাধন গুণ বিশিষ্ট ব্যক্তিরই ব্রহ্ম জিজ্ঞাসায় প্রবৃত্তি হয়, সুতরাং তিনিই বেদান্ত শাস্ত্রের উদ্দেশ্য ব্রাহ্মত্মৈকত্ব জ্ঞান সাধন পূর্বক ব্রহ্মানন্দ প্রাপ্তির অধিকারী হয়েন । এই প্রকার গুণবিশিষ্ট অধিকারী fশমকে ব্রহ্মনিষ্ঠ গুরু অধ্যারোপ ও আপ পদ ন্যার বিবরণ পূর্বক ব্রহ্মবিদ্যার উপ দেশ দিবেন । "গুণম্বিভাযানুগতায় *, चूंनी প্রদেয়মে তৎ, সকলং মুমুক্ষৰে । " গুণান্বিত অনুগত মুমুফু শিষ্যকে গুরু ব্রহ্মবিদ্যা প্রদা কfরবে না ; ραπακωωωφυπωπικά" সৃষ্টির অন্তর্গত নিয়ম। জগতের তত্ত্বালোচনা করিতে গিয়৷ আমরা সচরাচর দেখিতে পাই যে এক জা- ! তীয় কাৰ্য্য এক ৰূপ নিয়মেই সম্পাদিত । হইয়া থাকে । কিন্তু তাঙ্কার আবার ব্যত্যয় বা ব্যভিচার স্থলও দৃষ্ট হয় । সেই সকল স্থলে কোন নিয়ম অনুসারে কার্য হইতেছে, তাহা বিজ্ঞানবেত্তাগণ এপর্য্যন্ত নিশ্চয় ৰূপে নির্ণয় করিতে পারেন নাই, পরন্তু তাহাতে । ঈশ্বরের মঙ্গল ইচ্ছা জাজ্বল্যতর প্রকাশ হইতেছে। নিয়ে তাহার কএকটা উদাহরণ প্রদর্শিত হইতেছে । ১ । গ্রহাজির গতি –পদার্থ বিজ্ঞানে গতি সম্বন্ধে এই একটী সাধারণ নিয়ম সংস্থাপিত হুইয়াছে যে, যদি কোন গতিছে সটির অন্তগত নিয়ম ン( ○ ক্রমশঃ অধিকতর শক্তি প্রযোজিত হইতে থাকে, তাঙ্গ হইলে তাঙ্কার বেগ বা দ্রুতন্ত্রণ ক্রমশঃ বৰ্দ্ধিত হইয়া যায় । ইহার দৃষ্টান্ত এই যে, যদি কোন উচ্চ পৰ্বত শৃঙ্গ হইতে ভূতলাভিমুখে একটি বস্তু নিক্ষেপ কর। যায়, তাঙ্গ হইলে ক্রমশঃ তাহার বেগ বৃদ্ধি পাইয় অবশেষে ভূতল স্পর্শ করে । দূরস্থিত স্থান অপেক্ষ নিকটস্থ স্থানে পৃথিবীর আকর্মণের বল ক্রমশঃ অধিক, সেই যে তুই ঐ বস্তুর বেগের ক্রম বৃদ্ধি হইয়া থাকে । বিশ্ব রাজ্যের অন্য যে স্থানে দৃষ্টিপাত কর, দেখিতে পাইবে, এই নিয়ম অবিতথ ৰূপে কাৰ্য্যকারী হইতেছে । কিন্তু সেীর মগুলের গতি বিষয়ে ইহার বিধান অন্য ৰূপ দেখা যায় ! সুর্য্যের চতুস্পাশ্বে গ্রগণ এবং গ্ৰহগণের চতুপাশ্বে উপগ্ৰহগণ যে নিয়ন্ত ঘূর্ণমান হইতেছে, তাঙ্গ বোধ হয় অধুনাতন শিক্ষিতদিগের মধ্যে কাচারও অবিদিত নাই। সেই সূর্ণনক্রিয়ার কারণ অনুসন্ধান করিয়া পণ্ডিতগণ এক বাক্যে স্থির করিয়াছেন যে, গ্ৰহগণ, মধ্যস্থিত বিশালস্তম সুর্য্য

  • কর্তৃক আকৃষ্ট হইতেছে বলিয়া, তদভিমুখে

তাঙ্গাদিগের যে বেগ হইতেছে তাঙ্গ এবং সৃষ্টি কালে ঈশ্বর তাছাদিগকে যে সম্মুখ গমনের বেগ প্রদান করিয়াছেন, তাহ, এই উভয় বেগের যোগে তাহারা নিয়ত স্থৰ্য্যের চতুদিকে চক্রাকার পথে ভ্রমণ করিতেছে— কোন মতে অন্য কোন দিকে যাইতে পারিতেছে না । একটি ঘোটককে এক গাছি রজজু দ্বারা শিথিল ভাবে একটি বৃক্ষের সহিত বান্ধিয়া কষাঘাত করিলে, সে যে নিয়মে সেই বৃক্ষের চতুর্দিকে চক্রাকার পথে দৌড়িতে থাকে গ্রন্থগণও প্রায় সেই ৰূপ নিয়মে সুর্যের চতুষ্প শ্বে পরিভ্রমণ করিতেছে। যেমন ঘোটকের বেগ প্রতিনিয়ত ঋজু অর্থাৎ সরল রেখা ক্রমে থাকিয়াও বৃক্ষের আকর্ষণ নিব no