পাতা:তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (অষ্টম কল্প প্রথম খণ্ড).pdf/১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

م، ه ه لا t aبة S& ^ এই ৰূপে সাধারণ নিয়মের বিপর্যায় করিয়া জলের যে তারল্য রক্ষা করিতেছেন, তাচান্তে র্তাহার কি মঙ্গল অতিপ্রায় প্রকাশ হয় । শীত-প্রধান দেশস্থ নদী হ্রদ ও সমুদ্র প্রভৃতির উপরিভাগস্থ জল বহিঃস্থ শীতল সৃষ্টির অন্তগত নিয়ম বিষয়ে উক্ত সাধারণ নিয়ম যত দুর প্রয়োগ করিলে মঙ্গলের সম্ভাবনা, তত দুরই প্রয়োগ করিতেছেন, কিন্তু যত দূর করিলে জীবজন্তুর বিনাশ সম্ভাবনা, তত দুর সে নিয়মকে কাৰ্য্য করিতে দেন নাই । এই ৰূপে সমতা রক্ষিত হইতেছে বলিয়াই পণ্ডিতেরা কোম । হসর কোন সময়ে স্বৰ্য্য বা চন্দ্র গ্রহণ হইবে, কোন মাসের কোন সময়ে কোন ঋতুর উদয় ও অস্ত হইবে, তাগ অনেক ই নিশ্চিত করিয়া লিখিয়া ২ । শৈত্য নিবন্ধন জলের ঘনীভূতাবস্থা প্রাপ্তি –তরল পদার্থ মাত্রকেই যে শৈত্য %督 ঘনীভূত করিয়া কঠিনাবস্থায় পরিণত করা যাহতে পারে, ষ্ট্রজ পদার্থ বিজ্ঞানের একটি প্রধান নিয়ম ৷ বহু দশন দ্বারা শুপকে প্রসারিক-শক্তি-বিশিষ্ট এবং শৈতাকে আকুঞ্চিক-শক্তি-বিশিষ্ট বলিয়া উক্ত বিজ্ঞানে নিণাত হইয়াছে । বস্তুতঃ পরীক্ষা করিলে সকলেই দেখিতে পাইবেন ণে, জল, তৈল, ঘূভ প্রভৃতি যে কোন ভরল পদার্থ হউক ন! কেন, শৈত্য প্রয়োগ করিলে আকুঞ্চিত হইয়া ঘনীভূত হইবে এবং পেষ্ট ঘনীভূত পদার্থে তাপ প্রয়োগ করিলে ত{চ! আবার প্রসারিত হইয়া তরলাবস্থা প্রাপ্ত হইবে এবং অধিক তাপ দিলে তাহা ক্রমে বাষ্পীভূত হইয়। যাইবে । এইটি জড় পদার্থের সাধারণ নিয়ম। কিন্তু জলের সম্বন্ধে ইগর একটি আশ্চর্যা ৰিপৰ্য্যয় দেথিতে পাওয়া যায় । জলে শৈত্য প্রয়োগ করিলে তাহ ঘনীভূত হয় বটে, কিন্তু ৩৮.৮ ডিগ্রি পর্য্যন্তু শীতল হইলে, তাহা আর আকুঞ্চিত না হইয়া বরং বিস্তুত ब्रेप्ड आब्रड इञ्च । डां८°द्र नाज़ि ऐभडा ७३ স্বলে প্রসারক ইয়া তুষারশিলাকে সামান্য কল অপেক্ষা লঘু করিয়া ফেলে। ঈশ্বর ! ! s | | | i পৰ্য্যন্ত বায়ুর সংম্পর্শে প্রথমতঃ আকুঞ্চিত হইয়া ঘনীভূত হয় ; কিন্তু যখন ৩৮৮ ডিগ্রি শীতল হইল, তখন তাই। আর আকুঞ্চিত না হইয়া বিস্তৃতীয়তন হইতে থাকে । এই ৰূপ বিস্ত আয়তন হইতে আরম্ভ করে বলিয়। ঐ ঘনীভূত জল অর্থাৎ বরফ নিম্নস্থ জল অপেক্ষ: লঘু-তার হইয়। তার উপর ভাসিতে থাকে। এ ভাসমান বরফের শৈত্য নিবন্ধন নিম্নস্থ জল কখনই ঘনীভূত হইতে পারে না ; কারণ, জল তাপের অতি অধম পরিচালক, এজন্য নিম্নস্থ জলের স্বাভাবিক তাপ৷ংশ উপরিস্থ বরফের শৈত্য দ্বারা বিনষ্ট চইতে পারে না । যদি উপরিস্থ বরফ সাধারণ নিরম অনুসারে বিস্ততায়ন্তন না হইয়া অপরাপর পদার্থের ন্যায় সংকীর্ণায়তন হইত, ভাত! হইলে তাপ জলাপেক্ষ গুরু হওয়ায় নিম্নগামী হইত এবং সংম্পর্শ দ্বারা পথিমধ্য স্থ সমস্ত জলের স্বাভাবিক জাপের কিয়দংশ হরণ পূর্বক তলায় উপস্থিত ছটত । এই ৰূপ হইলে অস্প সময়ের মধ্যেই সমুদায় জল ঘনীভূত হইয়া বরফাকার ধারণ করিত এবং সেই বরফ আর কখনই স্থৰ্য্য-তাপে গলিয়া জল হইতে পারিত না । এই ৰূপ ঘটনা উপস্থিত হইলে যাবতীয় জলজন্তুই এক দিনে পঞ্চহু প্রাপ্ত হুইত, তাহাতে আর কিছুমাত্র সনোছ নাই । শীত-প্রধাৰ দেশের জলরাশির উপরি ভাগ হইতে নিম্নতম ভাগ পৰ্য্যন্ত বরফ হইয়া গেলে তৎসংস্পর্শে ক্রমশঃ গ্রীষ্ম-প্রধান দেশের নদী ও সমুদ্রাদির জলও তাপ-হীন হইয়। জমিয়া যাইত, সন্দেহ